‘পাক অধিকৃত কাশ্মীর আজ না হয় কাল আমাদের দখলে আসবেই’, বড় দাবি করলেন দিলীপ
হিন্দুস্তান টাইমস | ১২ মে ২০২৫
ভারত–পাকিস্তানের মধ্যে এখন সংঘর্ষ বিরতি। মধ্যস্থতাকারী দেশ আমেরিকা। তবে তারপরেও পাকিস্তানের পক্ষ থেকে সেই সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ভারতীয় সেনাবাহিনীও পালটা ব্যবস্থা নিয়েছে। এই ঘটনার পর রবিবার রাতে প্রথমবার কোনও গোলাগুলি চলেনি। আজ দুই দেশের ডিরেক্টর জেনারেল অফ মিলিটারি অপারেশনস বসছেন বৈঠকে। এই আবহে ভারত–পাক বৈঠক এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে মুখ খুললেন দিলীপ ঘোষ। যা নিয়ে এখন রাজ্য–রাজনীতিতে জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে।
এদিকে আজ, সোমবার ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণ করতে এসে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। সেখানেই পাকিস্তানকে তুলোধনা করেছেন। দিলীপ বলেন, ‘পাকিস্তান চুক্তি ভঙ্গ করবে এটা নতুন কিছু নয়। সিমলা থেকে শুরু করে সব চূক্তিই লঙ্ঘন করেছে। ওদের বিশ্বাস করা ঠিক নয়। ভারত যোগ্যতার সঙ্গে তার জবাব দিয়েছে। তুরস্কের ড্রোন ব্যবহার করে ইউক্রেন রাশিয়াকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল। ওই একই ড্রোন আমাদের সেনা মাঝপথে ধ্বংস করে নামিয়ে দিয়েছে। আমরা কি করতে পারি আমরা দেখিয়ে দিয়েছি। যুদ্ধ হবে কি হবে না সেটা নিয়ে দু’রকমের মতামত আছে। পরবর্তী কি পদক্ষেপ হবে সেটা মাথায় রেখেছেন এই বিষয়ের ভারপ্রাপ্ত বিশেষজ্ঞরা। তার ওপর ভিত্তি করেই আজ কথা হবে।’
অন্যদিকে পাকিস্তানের কোণঠাসা অবস্থার সুযোগ নিয়ে ভারতের কি পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে নেওয়া উচিত? এই প্রশ্ন করা হয় বিজেপির প্রাক্তন সাংসদকে। জবাবে দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, ‘দেশে একটা উন্মাদনা তৈরি হয়েছিল। পাকিস্তানকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য দেশ তৈরি ছিল। মাঝপথে যুদ্ধ বন্ধ হয়েছে। সরকার এটা নিয়ে পরে নিশ্চয়ই কিছু বলবে। জনতা এখনও চায় বাঁশ থাকবে না বাঁশিও বাজবে না। এরকম পদক্ষেপ করা উচিত। পাক অধিকৃত কাশ্মীর আজ না হয় কাল আমাদের দখলে আসবেই। বড় বড় দেশ চাইবে না যুদ্ধ হোক। কারণ তাহলে আর্থিক মন্দা দেখা দেয়। বাজার নষ্ট হয়। নানা দেশের যুদ্ধে ইউরোপ আমেরিকা আর্থিকভাবে ধাক্কা খেয়েছে। ভারতের মতো বড় এবং দায়িত্বশীল দেশ অনেক কিছু বিবেচনা করে এগোচ্ছে। তাই আজকের বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
তাছাড়া কংগ্রেস সাংসদ তথা লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী চিঠি লিখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। সেখানে যুদ্ধ বিরতিতে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ মানবেন না তিনি সেটা লেখা হয়েছে। আর তারপরই কংগ্রেস হঠাৎ করেই ইন্দিরা গান্ধীর জয়গানে মুখর হয়ে উঠেছে। যা নিয়ে দিলীপ ঘোষের কথায়, ‘ইন্দিরা গান্ধীর আগে এবং পরে কংগ্রেস অনেকগুলি যুদ্ধ করেছে। তার ফল তো দেখাই যাচ্ছে। পাক অধিকৃত কাশ্মীর হল কীভাবে? তখন নিয়ে নেননি কেন? তখন তো চাহিদা ছিল পূর্ব বঙ্গের খুলনা যশোর জেলা আমাদের নিয়ে নেওয়ার কথা ছিল। কেন নেননি? তাহলে তো বাংলাদেশ ইস্যুর সমাধান হয়ে যেত। নানা সময় বিভিন্ন নেতা যুদ্ধ নিয়ে তাঁদের মতো করে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আজকের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ আলাদা। অটলবিহারী বাজপেয়ী বা নরেন্দ্র মোদী যা করেছেন সেটা আগে কোনওদিনই কংগ্রেস করতে পারেনি।’