• অসুস্থ নাসরিনের মৃত্যু এসএসকেএমে, মেদিনীপুর মেডিক্যালে স্যালাইন কাণ্ডের জের‌
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১২ মে ২০২৫
  • মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে স্যালাইন কাণ্ডের ঘটনায় রাজ্য–রাজনীতি তোলপাড় হয়ে উঠেছিল। কারণ একজনের মৃত্যু হয়েছিল। তখন বাকিদের এসএসকেএম নিয়ে এসে ভর্তি করা হয়। শুরু হয় চিকিৎসা। এবার আরও এক প্রসূতির মৃত্যু হল। রবিবার রাত ১০টা নাগাদ এস‌এসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নাসরিন খাতুনের মৃত্যু হয়েছে। গত ১২ জানুয়ারি থেকে এস‌এসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল নাসরিন। মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল ব্যাহত হ‌ওয়ায় কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হয় নাসরিনের। ভেন্টিলেশনে ছিলেন নাসরিন। চার মাসের লড়াই শেষ হল নাসরিনের। স্যালাইনে বিষক্রিয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন নাসরিন।

    এদিকে নাসরিনের পরিবারের দাবি, সিজার হওয়ার পর আবার অপারেশন করা হয়। নাসরিন খাতুনের দ্বিতীয়বার কেন অপারেশন হল?‌ এটাই বড় প্রশ্ন। প্রথমে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউ ওয়ার্ডে ভেন্টিলেশনে ছিলেন। ২০ শতাংশ আশার আলো দেখতে পেয়েছিলেন চিকিৎসকরা। তখন তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় কলকাতায়। কিন্তু চিকিৎসায় সাড়া দেননি নাসরিন। এই বিষয়ে নাসরিনের জামাইবাবু ইনসান আলি বলেন, ‘১০ দিন আগেই জেনারেল বেডে দেওয়া হয়েছিল নাসরিনকে। ১০ মে বাড়ি ফেরার কথা ছিল। ৯ মে রাত থেকে আবার খিঁচুনি, বমি শুরু হয়। রবিবার রাতে ডাক্তাররা জানালেন, নাসরিন আর নেই।’‌


    অন্যদিকে গত ৮ জানুয়ারি মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে সন্তানের জন্ম দেন নাসরিন খাতুন। রিঙ্গার্স ল্যাকটেট স্যালাইন নাসরিন–সহ পাঁচ প্রসূতিকে দেওয়া হলে অসুস্থ হয়ে পড়েন তাঁরা। ১০ জানুয়ারি ভোরে মারা যান মামণি রুইদাস নামে এক প্রসূতি। তাঁর থেকে কম অসুস্থ রেখা সাউ নামে এক প্রসূতি মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বাকি তিনজন মাম্পি সিং, মিনারা বিবি এবং নাসরিন খাতুনকে ১২ জানুয়ারি এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মাম্পি, মিনারা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। কিন্তু কেশপুরের নাসরিনকে বাঁচানো গেল না।

    তাছাড়া এই ঘটনার পর থেকেই মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইনের তত্ত্ব সামনে আসে। তারপর পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালের স্যালাইন এবং ১০টা ওষুধের ব্যবহার করার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। তবে নাসরিন খাতুনের মৃত্যু নিয়ে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌম্যশঙ্কর ষড়ঙ্গীর বক্তব্য, ‘‌অত্যন্ত মর্মান্তিক ঘটনা। রবিবার রাতে ডায়ালিসিস নেওয়ার সময়ই মাল্টিঅর্গান ফেলিওর হয়ে নাসরিন খাতুনের মৃত্যু হয় বলে জানতে পেরেছি। আজ দেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হবে। তার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকেই দেহ বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে।’ আর নাসরিনের স্বামী সেলিম খানের প্রশ্ন, ‘‌এবার আমার সদ্যোজাত কন্যাসন্তানকে কেমন করে মানুষ করব?’‌
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)