• আরও আরাম এবার বাসে, আসনের মাপ বলল পরিবহণ দফতর, নয়া বিধিতে দরজা নিয়েও আপডেট
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৩ মে ২০২৫
  • রোজই হাজার হাজার মানুষ বাস চাপছেন। সেই আগের মতো ঘুপচি বাস এখন অনেকটাই কমেছে। কিছু বাসের কাঠামো বদল হয়েছে। তবে বাসযাত্রা এখনও পুরোপুরি আরামদায়ক নয়। তবে এসবের মধ্য়েই বাস যাত্রীদের সুরক্ষা বৃদ্ধির জন্য ও কিছুটা যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য নির্দিষ্ট কিছু বিধি এনেছে রাজ্য পরিবহণ দফতর। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই পদক্ষেপ।

    একাধিক নিয়ম বাধ্য়তামূলক করা হয়েছে বাসের ক্ষেত্রে। তবে এক্ষেত্রে কেবলমাত্র সরকারি ও বেসরকারি বাসেই নয়, স্কুলের পুলকার, মিনিবাস ও যাত্রী পরিবহণের কাজে যুক্ত একাধিক পরিবহণের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে এই নয়া ব্যবস্থা।

    এই নয়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে ফিটনেস সার্টিফিকেট পাওয়ার আগে এই শর্তগুলি পূরণ করতে হবে। যে বাস এগুলি মানবে না তাদের ফিটনেস সার্টিফিকেট দেওয়া হবে না। কড়া পদক্ষেপ। এদিকে ইতিমধ্য়েই যে বাস রাস্তায় চলছে তারা কতগুলি এই নিয়ম মানবে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। তবে বাসগুলি এই নিয়ম মানলে বহু যাত্রীর সুবিধা হবে। বাসের বসার পরপর দুটি আসনের মধ্য়ে কতটা ফারাক থাকবে সেটাও বলা হয়েছে। অত্যন্ত সময় উপযোগী নির্দেশিকা।

    একাধিক গুরুত্বপূর্ণ কথা বলা হয়েছে। বাসের পা দানিগুলি এতটাই উঁচুতে থাকে অনেক সময়ই বয়স্কদের খুব সমস্যা হয়। যাদের মূলত হাঁটুতে ব্যাথা রয়েছে তাদের সমস্যা আরও বাড়ে। নতুন নিয়মে বলা হয়েছে, বাসের সিঁড়ির মাপ মাটি থেকে ২৫ থেকে ৪৩ সেন্টিমিটারের মধ্য়ে রাখতে হবে। বাসের দরজা ৫৩ সেমি রাখতেই হবে।

    সেই সঙ্গে বলা হয়েছে বাসে আপৎকালীন দরজা রাখা যাবে না। তবে বাসে ওঠানামার জন্য একটা হাতল রাখতে হবে। এর মাধ্য়মে বাসে ওঠানামার জন্য় সুবিধা হবে।

    এবার ঠিক করা হয়েছে বাসে প্রতি যাত্রীর বসার জন্য নির্দিষ্ট মাপ থাকবে। ৩৮ বর্গসেন্টিমিটার জায়গার মধ্য়ে প্রতি যাত্রীর বসার জায়গা নির্দিষ্ট করতে হবে। বাসের জানালা কেমন হবে. চালকের কেবিন কেমন হবে সবটাই জানানো হয়েছে। বাসের মধ্যে ফার্স্ট এইড বক্স রাখার কথাও বলা হয়েছে।

    এই নয়া নির্দেশিকাকে ঘিরে যাত্রীদের মধ্য়ে উৎসাহ দেখা দিয়েছে। এই ধরনের নির্দেশিকা যদি বাসগুলি অক্ষরে অক্ষরে পালন করা হয় তবে বাস যাত্রা আরও আরামদায়ক হবে বাংলায়। তবে শেষ পর্যন্ত কতগুলি বাস এই নয়া নিয়ম মেনে চলবে সেটা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)