পাঁচটি পঞ্চায়েত জিতে অসমে শক্তি বাড়াল তৃণমূল কংগ্রেস, এক্সে অভিষেকের শুভেচ্ছা
হিন্দুস্তান টাইমস | ১৩ মে ২০২৫
সম্প্রতি শেষ হয়েছে অসমের পঞ্চায়েত নির্বাচন। আর সেখানে চমকপ্রদ সাফল্য পেল তৃণমূল কংগ্রেস। বাংলার পর অসমে এই সাফল্য বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। মেঘালয়ে এখন প্রধান বিরোধী দল তৃণমূল কংগ্রেস। অসমে অনেকদিন ধরেই ঘুঁটি সাজাচ্ছিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অবশেষে অসম রাজ্যে মোট পাঁচটি আঞ্চলিক পঞ্চায়েত আসনে জয়লাভ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর তারপরই জয়ী প্রার্থীদের শুভেচ্ছা জানালেন অভিষেক। এক্স হ্যান্ডেলে সেই শুভেচ্ছা দিতেই জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে।
এদিকে তাৎপর্যপূর্ণভাবে এই পাঁচটি আঞ্চলিক পঞ্চায়েত আসনের মধ্যে দুটি গুরুত্বপূর্ণ কামরূপ জেলার আসন। তৃণমূল কংগ্রেস ২৮ জন জেলা পরিষদ প্রার্থী এবং ৪৪ জন আঞ্চলিক পঞ্চায়েত প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়েছিল। সাফল্য আসতেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘সদ্যসমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনে অসম প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেস ইউনিটের দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং সমন্বয়ের সঙ্গে প্রচেষ্টার জন্য আমি তাঁদের আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই। প্রতিটি মাইলফলক, যতই তুচ্ছ হোক না কেন, টেকসই প্রতিশ্রুতি এবং সম্মিলিত অধ্যবসায়ের ফলাফল।’
অন্যদিকে কারা জিতেছেন এই নির্বাচনে? একজন মহিলা প্রার্থী–সহ জয়ী তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীদের নামগুলি হল—মহম্মদ সফিকুল ইসলাম কামরূপ জেলার আচলপাড়া আঞ্চলিক পঞ্চায়েত, আক্কাস আলি দরং জেলার বান্দিয়া আঞ্চলিক পঞ্চায়েত, বদর আলি সইকিয়া কামরূপ জেলার দামপুর আঞ্চলিক পঞ্চায়েত, ফরিদা বড়ভুঁইঞা কাছাড় জেলার গোবিন্দপুর–আলগাপুর আঞ্চলিক পঞ্চায়েত এবং ফয়েজ আহমেদ শ্রীভূমি জেলার বিনোদিনী আঞ্চলিক পঞ্চায়েত থেকে জয়ী হন। তারপরই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, ‘অসমে তৃণমূল কংগ্রেস ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। আমি আচলপাড়া, বান্দিয়া, দামপুর, গোবিন্দপুর আলগাপুর এবং বিনোদিনী থেকে আমাদের জয়ী প্রার্থীদের অভিনন্দন জানাই। আঞ্চলিক পঞ্চায়েত আসনে তাদের জয় স্পষ্টতই তৃণমূল কংগ্রেস অসমের মাটিতে ক্রমবর্ধমান সমর্থন এবং আস্থার প্রতিফলন ঘটিয়েছে।’
এছাড়া এখানে ভোট গ্রহণ হয়েছিল দুই দফায়। ২ এবং ৭ মে। মোট ১,৮০,৩৬,৬৮২ জন ভোটার ছিলেন। যার মধ্যে ৯০,৭১,২৬৪ জন পুরুষ, ৮৯,৬৫,০১০ জন মহিলা এবং ৪০৮ জন অন্যান্য ভোটার। ভোটদানের হার ছিল ৭৪.৭১ শতাংশ। ভোট গণনা শেষ হয় সোমবার। তাই তো এক্স হ্যান্ডেলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা, ‘এটা কেবল শুরু। অব্যাহত প্রচেষ্টা এবং সম্পৃক্ততার মাধ্যমে, আমরা নিশ্চিত যে আন্দোলন আরও শক্তিশালী হবে এবং অসমের জনগণের জন্য একটি বিশ্বাসযোগ্য এবং অর্থপূর্ণ বিকল্প হিসেবে আবির্ভূত হবে।’