• সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে ওঠার বার্তা রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষের
    বর্তমান | ১৩ মে ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: সব ধর্মকে সমান চোখে দেখতে হবে। সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে উঠতে হবে। সোমবার জলপাইগুড়িতে এমনই বার্তা দিলেন রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী গৌতমানন্দ মহারাজ। তিনি বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় যুদ্ধ, রেষারেষি, হানাহানি চলছে। এর মূলে রয়েছে মানুষের মনে সংকীর্ণতা। আমরা যে ধর্মে আছি, সেই ধর্মেই থাকতে পারি। কিন্তু অন্য ধর্মকেও ভালো চোখে দেখতে হবে। মনে রাখতে হবে, সব ধর্মই সমান। তাহলেই আমরা জগতের কল্যাণ করতে পারব। স্বামীজির উক্তি তুলে ধরে জগতের কল্যাণে যুবকদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ। বলেন, পড়াশোনার পাশাপাশি যুবকদের শারীরিক ও মানসিকভাবে শক্তিশালী হতে হবে। প্রকৃত ধর্ম কী তা জানতে হবে। দেশের সংস্কৃতি জানতে হবে। তা নিয়ে গর্ব করতে হবে। স্বামী বিবেকানন্দের পদধূলিধন্য জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশনে এদিন স্মারক উন্মোচন করেন স্বামী গৌতমানন্দ মহারাজ। দার্জিলিং যাওয়ার পথে চারবার জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশনে নেমেছিলেন স্বামীজি। শেষবার তিনি এসেছিলেন ১৯০১ সালে। সেই হিসেবে স্বামী বিবেকানন্দের জলপাইগুড়িতে পা রাখার ১২৫ বছর পূর্তি এবার। এই উপলক্ষ্যে জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশনে স্বামীজির বাণী লেখা স্মারক উন্মোচন করা হয় এদিন। পাশাপাশি জলপাইগুড়ি জেলা স্কুলে একটি অনুষ্ঠানে এদিন যোগ দেন রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ। স্বামী জ্যোতিশ্বরানন্দ মহারাজ, যিনি রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সহ সঙ্ঘাধ্যক্ষ হয়েছিলেন, তার ছাত্র জীবনের অনেকটা সময় কেটেছে জলপাইগুড়ি জেলা স্কুলে। এই উপলক্ষ্যে এদিন ওই স্কুলে একটি স্মারক উন্মোচন করা হয়। 

    অবিভক্ত বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেন স্বামী জ্যোতিশ্বরানন্দ। ১৯১১ সালে ২২ বছর বয়সে তিনি রামকৃষ্ণ মহাসঙ্ঘে যোগ দেন। এদিন জলপাইগুড়ি জেলা স্কুলে তাঁর নামাঙ্কিত স্মারক উন্মোচন করে স্বামী গৌতমানন্দ মহারাজ বলেন, স্বামী জ্যোতিশ্বরানন্দ মহারাজের সান্নিধ্য পেয়েছি আমি। তিনি যে স্কুলে পড়েছেন, সেখানে আসতে পেরে আমার খুবই ভালো লাগছে। এদিন রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের পক্ষ থেকে জলপাইগুড়ি জেলা স্কুলের উন্নয়নে এক লক্ষ টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়।
  • Link to this news (বর্তমান)