• অন্তর্ঘাত প্রতিরোধ: কোচবিহারের তোর্সা সেতুতে অ্যান্টি সাবোতাজ টিমের তল্লাশি
    বর্তমান | ১৩ মে ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কোচবিহার: কোচবিহার জেলার বিস্তীর্ণ অংশে রয়েছে ভারত-বাংলাদেশের সীমান্ত। এছাড়াও আছে অসমের সঙ্গে আন্তঃরাজ্য সীমানা। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের গেটওয়ে বলে পরিচিত এই এলাকা। ফলে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই অঞ্চল। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে তাই জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে নাকা চেকিং বাড়িয়েছে পুলিস। অন্তর্ঘাত প্রতিরোধে তোর্সা সেতু সহ অন্যান্য সেতুতে অ্যান্টি সাবোতাজ টিম শুরু করেছে তল্লাশি। এদিকে, কোচবিহার বিমানবন্দরেরও নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়েছে। প্রতিদিন বিমানবন্দর থেকে চারবার করে রিপোর্ট পাঠানো হচ্ছে এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়াকে। 

    কোচবিহারের পুলিস সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য বলেন, তোর্সা সেতুতে অ্যান্টি সাবোতাজ চেকিং সোমবার হয়েছে। জেলার অন্যান্য সেতু, কালভার্টেও নাশকতামূলক কাজ রুখতে এই চেকিং করা হচ্ছে। 

    কোচবিহার বিমানবন্দরের ডিরেরেক্টর শুভাশিস পাল সোমবার বলেন, আমাদের বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। উপর মহল থেকে নির্দেশিকা আসার পর তা কার্যকরা করা হয়েছে। দেশের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিার কাছে প্রতিদিন চারবার করে কিছু বিশেষ তথ্য পাঠানো হচ্ছে। 

    কোচবিহার জেলায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের বেশকিছু এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া নেই। সেই সব জায়গা দিয়ে পাচার রুখতে বিএসএফ ও প্রশাসন তৎপর। পাশেই অসম সীমান্ত। সেখান দিয়েও সড়কপথে প্রতিদিন হাজার হাজার গাড়ি চলাচল করে। সেই পথেও যাতে নাশকতার ছক দুষ্কৃতীরা করতে না পারে তারজন্যও সর্তক দৃষ্টি রয়েছে পুলিস প্রশাসনের। এই পরিস্থিতিতে জেলার বিভিন্ন সেতুর উপর বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। তারমধ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হল জেলার তোর্সা সড়ক সেতু। এদিন মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে সেতুর বিভিন্ন অংশ পরীক্ষা করা হয়।  

    জেলা পুলিস সূত্রে খবর, কয়েকদিন ধরেই জেলার বিভিন্ন জায়গার সেতু, কালভার্টের উপর কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে। চলছে অ্যান্টি সাবোতাজ চেকিং। এদিকে, দিনকয়েক আগেই জামাকাপড়ের দোকানে গিয়ে পুলিসের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কোনওভাবেই ক্যামোফ্লেজ পোশাক সাধারণ মানুষকে বিক্রি করা যাবে না। সেনা কিংবা পুলিসের পোশাক, টুপি বিক্রি করা যাতে না হয়। 

    কোচবিহার জেলার উপর দিয়ে যাওয়া ৩১সি জাতীয় সড়ক উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই জাতীয় সড়কের উপরে রয়েছে তোর্সা সেতু। তাই এর গুরুত্বও যথেষ্ট। কোচবিহার বিমানবন্দর থেকে দিনে একটিই মাত্র উড়ান কলকাতা থেকে আসে এবং কলকাতায় যায়। অবস্থানগত দিক থেকে এই বিমানবন্দরটিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই এখানকার নিরাপত্তাও বৃদ্ধি করা হয়েছে।  নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)