বাংলাদেশ সীমান্তের সঙ্গে যোগাযোগ মসৃণ করতে উড়ালপুল তৈরিতে তৎপরতা শুরু, বিএসএফকে দ্রুত ফেন্সিং শেষ করতে বললেন সাংসদ
বর্তমান | ১৩ মে ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: বাংলাদেশ সীমান্তের সঙ্গে সড়কপথে যোগাযোগ মসৃণ করতে জলপাইগুড়িতে উড়ালপুল তৈরিতে তৎপরতা শুরু। সোমবার জলপাইগুড়ি শহরের তিন নম্বর গুমটি এলাকায় রেলের আধিকারিকদের সঙ্গে পরিদর্শনে যান সাংসদ ডাঃ জয়ন্ত রায়। জলপাইগুড়ি শহরে তিন নম্বর গুমটি রেলগেটে যানজট নিত্যদিনের চেনা ছবি। একবার গেট পড়লে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এখানে উড়ালপুল তৈরির জন্য এলাকার বাসিন্দাদের দাবি দীর্ঘদিনের। তার সঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতিতে বিষয়টি আরও গুরুত্ব পেয়েছে। কারণ, জলপাইগুড়ি শহর থেকে দশ কিমি গেলেই বাংলাদেশ সীমান্ত শুরু। সেক্ষেত্রে যাতায়াতের পথ বলতে হলদিবাড়ি-জলপাইগুড়ি রাজ্যসড়ক। ওই পথে সীমান্তের সঙ্গে যোগাযোগ মসৃণ করতে জলপাইগুড়ির তিন নম্বর রেল গুমটির যানজট অন্যতম বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। সেকারণে ওই এলাকায় উড়ালপুল তৈরির তৎপরতা শুরু হয়েছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
এদিন এলাকা পরিদর্শনের পর জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত রায় বলেন, তিন নম্বর গুমটিতে উড়ালপুল জরুরি। যানজট এড়ানোর পাশাপাশি বাংলাদেশ সীমান্ত এখান থেকে বেশি দূরে নয়। ফলে সড়কপথে যোগাযোগের পরিকাঠামো উন্নয়নে এখানে উড়ালপুল হওয়া দরকার। এনিয়ে রেলকে আগেই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। দ্রুত যাতে ওই কাজ সম্পন্ন হয়, সেই চেষ্টা চলছে। এদিন রেলের আধিকারিকরা এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
এদিকে, বর্তমান পরিস্থিতিতে উন্মুক্ত বাংলাদেশ সীমান্তে ফেন্সিংয়ের কাজ যাতে দ্রুত শেষ হয়, সে ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছেন জলপাইগুড়ির সাংসদ। তিনি বলেন, আমার লোকসভা কেন্দ্রের অধীনে প্রায় ২৫০ কিমি বাংলাদেশ সীমান্ত রয়েছে। এর মধ্যে এখনও অনেকটাই উন্মুক্ত। কিছু জায়গায় জমির সমস্যা মেটায় সেখানে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। ওই কাজ যাতে দ্রুত শেষ হয়, তা নিয়ে বিএসএফ কর্তাদের সঙ্গে দেখা করে বলা হয়েছে। তাঁর দাবি, উত্তরবঙ্গে রেল ও সড়কপথে উন্নত যোগাযোগের স্বার্থে পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ চলছে। একইসঙ্গে সীমান্ত সুরক্ষায় জোর দেওয়া হচ্ছে। নিজস্ব চিত্র।