• রবীন্দ্র জয়ন্তী থেকে সারা বছর কল্যাণমূলক কাজের শপথ সারদাময়ী হাইস্কুল কর্তৃপক্ষের
    বর্তমান | ১৩ মে ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, চন্দ্রকোণারোড: রবীন্দ্র জয়ন্তীর দিন গড়বেতা-৩ ব্লকের চন্দ্রকোণা রোড সারদাময়ী হাইস্কুলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ঘিরে ব্যাপক উন্মাদনা দেখা যায়। সেই সঙ্গে স্কুলের তরফে সারা বছর নানা সমাজ কল্যাণমূলক কাজ করার শপথ নেওয়া হয়। আর এতেই খুশি স্কুল পড়ুয়া থেকে অভিভাবক ও স্থানীয় বাসিন্দারাও। 

    স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, এবছর রবীন্দ্র জয়ন্তী উৎসবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাত, জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ নির্মল ঘোষ, স্কুল পরিচালন কমিটির সভাপতি রামচন্দ্র পাল, গড়বেতা-৩ বিডিও দীপাঞ্জন ভট্টাচার্য প্রমুখ। ওইদিন স্কুল প্রাঙ্গণে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, স্বামী বিবেকানন্দ ও নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর অবয়ব মূর্তি উন্মোচন করা হয়। স্কুল প্রাঙ্গণে দু’দিন ধরে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। বর্তমান পড়ুয়াদের পাশাপাশি স্কুলের প্রাক্তনীরাও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেন। গান, আবৃত্তি ও নৃত্য পরিবেশন সকলকে মুগ্ধ করে। রাজ্যের মন্ত্রী জানান, স্কুলের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পেরে আপ্লুত। আগামী দিনে এই স্কুলের আরও সাফল্য কামনা করছি।স্কুল পরিচালন কমিটির সভাপতি রামচন্দ্র পাল বলেন, কিছুদিন আগে স্কুলের কমিটিতে যোগ দিই। স্কুলের জন্য অনেক কিছু করতে চাই। এই স্কুলের উন্নতি আমাদের প্রধান লক্ষ্য। আগামী দিনে স্কুলের তরফে নানা কর্মসূচি পালন করা হবে। আমাদের এই স্কুলের মূলমন্ত্র হল একতা। স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও পড়ুয়াদের সহযোগিতা ছাড়া এই অনুষ্ঠান পরিচালনা করা কোনওভাবেই সম্ভব ছিল না।

    বিদ্যাসাগর বিশ্ব বিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার জয়ন্তকিশোর নন্দী বলেন, স্কুলের এই উদ্যোগকে কুর্নিশ জানাচ্ছি। ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতি ছিল নজরকাড়া।

    প্রসঙ্গত, ১৯৪৫ সালে সারদাময়ী হাইস্কুলের পথ চলা শুরু হয়। এই স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে ছিলেন বসুদেব কারক, ইন্দুভূষণ ঘোষ, শরৎচন্দ্র বসু, গগনচন্দ্র হাজরা, মঙ্গলা প্রসাদ পান্ডে প্রমুখ।

     স্থানীয় এক বাসিন্দার কথায়, এই স্কুলের বেশ সুনাম আছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের রেজাল্টও ভালো হয়। আগে শুধু সরস্বতী পুজো হতো। রবীন্দ্র জয়ন্তীর অনুষ্ঠান ঘিরে বেশ ভালই উন্মাদনা ছিল। স্কুলের পড়াশোনার পরিকাঠামোর বদল হয়েছে। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বিশ্বজিৎ মাল বলেন, এই অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করতে সকলের সহযোগিতা পেয়েছি। ছাত্রছাত্রীদের জন্য খুবই গর্ব হয়। জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ নির্মল ঘোষ বলেন, দারুণ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শুনেছি সারা বছর ধরেই স্কুল কর্তৃপক্ষ নানা কর্মসূচি পালন করবে। স্কুলের পাশে সর্বদা আছি। প্রাচীন এই স্কুল স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে আবেগ।-নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)