র্যাগিংয়ের অভিযোগে বর্ধমান ইউনিভার্সিটি ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির ২ পড়ুয়া ধৃত
বর্তমান | ১৩ মে ২০২৫
সংবাদদাতা, বর্ধমান: দ্বিতীয় বর্ষের কয়েকজন ছাত্রকে র্যাগিংয়ের অভিযোগে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ইউনিভার্সিটি ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজির দুই পড়ুয়াকে গ্রেপ্তার করেছে বর্ধমান থানার পুলিস। ধৃতদের নাম পীযূষ কুমার ও সৌরভ কুমার। বিহারের নওদা জেলার মুফ্ফসিল থানার ভাদোখানায় প্রথম জনের বাড়ি। অপরজনের বাড়ি বিহারেরই বৈশালী জেলার পাতেপুর থানার বাজেদপুরে। রবিবার সন্ধ্যায় বর্ধমান শহরের গোলাপবাগ মোড় থেকে তাদের ধরা হয়। র্যাগিংয়ে জড়িত থাকার কথা ধৃতরা কবুল করেছে বলে পুলিসের দাবি। ধৃতদের সোমবার বর্ধমান সিজেএম আদালতে পেশ করা হয়। র্যাগিংয়ে বাকি জড়িতদের হদিশ পেতে এবং মারধরে ব্যবহৃত লোহার রড প্রভৃতি উদ্ধার করতে ধৃতদের হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানায় পুলিস। ধৃতদের দু’দিনের পুলিসি হেফাজত মঞ্জুর করেন ভারপ্রাপ্ত সিজেএম।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, কিছুদিন ধরেই ইউনিভার্সিটি ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজির তৃতীয় ও চতুর্থ বর্ষের কয়েকজন পড়ুয়া এজেসি বোস বয়েজ হস্টেলে দ্বিতীয় বর্ষের কয়েকজন ছাত্রকে র্যাগিং করছিল। তাঁদের উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হচ্ছিল। রবিবার ভোররাতে তা চরমে ওঠে। দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র অনিরুদ্ধ শর্মাকে রড, লাঠি দিয়ে মারধর করা হয়। তাঁর রুমমেট এবং কয়েকজন পড়ুয়া তাঁকে বাঁচাতে আসেন। তাঁদেরও মারধর করা হয়। অনিরুদ্ধর মাথা লক্ষ্য করে রড চালানো হয়। তা আটকাতে গেলে রডের ঘায়ে তাঁর হাতে গুরুতর আঘাত লাগে। তাঁকে বাঁচাতে আসা পড়ুয়ারাও মারধরে গুরুতর জখম হন।
পুলিসের কাছে লিখিত অভিযোগে অনিরুদ্ধ জানিয়েছেন, এই প্রথম নয়। এর আগেও বেশ কয়েকবার এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। কয়েকজন পড়ুয়াকে নানাভাবে হেনস্তা করা হয়। মারধর করা হয়। র্যাগিং করা হয়। কিন্তু, কলেজ কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেওয়া দূরে থাক, পুরো বিষয়টি চেপে যায়। কলেজ কর্তৃপক্ষের এই ভূমিকায় উৎসাহিত হয় র্যাগিংয়ে জড়িতরা। ঘটনার দিন বিকেলেই তিনি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার কয়েকটি ধারার পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে র্যাগিং নিরোধক অ্যাক্টে মামলা রুজু করেছে থানা।