• ভারত-পাক সীমান্তে গিয়ে দেশসেবা করতে চান ৭৩ বছরের দুর্গাপুরের ‘যুবক’
    বর্তমান | ১৩ মে ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, আসানসোল: পূর্ব পাকিস্তানকে স্বাধীন করতে সাহায্যের হাত বাড়ালেন ইন্দিরা গান্ধী। যুদ্ধ বাঁধতেই যুব সমাজকে নিয়ে সিভিল ডিফেন্সে প্রশিক্ষণ হয়। সেখানেই যোগ দিলেন স্বপন চৌধুরী। বয়স তখন কুড়ি। ১৫ দিনের টানা যুদ্ধ প্রস্তুতির প্রশিক্ষণ নিয়ে তিনি হাজির হলেন এমএএমসিতে। সেখানেই ছিল দুর্গাপুরের আপৎকালীন সিভিল ডিফেন্স কন্ট্রোলরুম।

     যুদ্ধের সময়ে সেখান থেকেই শহরবাসীকে সতর্ক করাতে নিয়মিত সাইরেন বাজাতেন। তাঁর কর্মনিষ্ঠায় খুশি হয়ে আধিকারিকরা তাঁকে নিয়ে গিয়েছিলেন বালুরঘাটের কাছে ভারত বাংলা দেশ সীমান্তে। সীমান্তে থাকা বহু মানুষকে প্রশাসনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরিয়ে ছিলেন সিভিল ডিফেন্স কর্মী হিসাবে।দেড় মাস ধরে দেশসেবা করার জন্য পেয়েছিলেন শংসাপত্র। পরবর্তী ধাপে জনগণনার কাজ করে কেন্দ্রীয় সরকারের পুরস্কারও জুটেছিল কপালে। দেশভক্তির সেই অবদানকে অবলম্বন করেই ডিএসপিতে কাজও পেয়ে যান। তিনি যেমন প্রাণভরে যুদ্ধে দেশসেবা করেছেন তেমনি তাঁর জন্য তিনি চাকরি থেকে সম্মান সবই পেয়েছেন। পাঁচ দশক পর ফের ভারতের সামনে পাকিস্তান। পুরোমাত্রায় দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে দেশ। এই অবস্থায় ফের নিজের অবসর জীবন ভেঙে সীমান্তে যেতে চান স্বপনবাবু। তাঁর আর্জি বয়স দেখে যেন তাঁকে বিচার না করা হয়। প্রয়োজনে নেওয়া হোক শারীরিক পরীক্ষা।

    দুর্গাপুর স্টিল টাউনশিপের রানাপ্রতাপে থাকেন ৭৩ বছরের বৃদ্ধ। দুই ছেলেরও বিয়ে হয়ে গিয়েছে। স্ত্রী রয়েছেন। কিন্তু এই বয়সেরও কারও উপরেই তিনি নির্ভরশীল নন। ভোর চারটের সময়ে ঘুম থেকে ওঠেন। নিয়মিত ব্যায়াম, মর্নিংওয়াক করে শরীর চর্চা করেন। সংসারের প্রয়োজনে শহরের নানা প্রান্ত ছুটে বেড়ান সাইকেল নিয়েই। তিনি বলেন, আমি চাই আরও একবার যেন দেশ সেবা করার সুযোগ পাই। পরিবারের লোকজন এতে কিছুটা আপত্তি করছিল। কিন্তু আমি রাজি করিয়ে নিয়েছি। এখন আমি প্রশাসনের ডাকের অপেক্ষায় রয়েছি।  স্বপন চৌধুরী।-নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)