এসি মেশিনের তামার তার চুরি বাড়ছে বারাসতে, উদ্বেগে পুলিস
বর্তমান | ১৩ মে ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: গরমের তীব্রতা বাড়তেই বহু বাড়িতে বসানো হয়েছে এসি মেশিন। সেই সুযোগে পোয়া বারো দুষ্কৃতীদেরও। রাতের অন্ধকারে এসির সঙ্গে যুক্ত তামার তার চুরি বাড়েছে বারাসতে। প্রায় প্রতিদিনই চুরির ঘটনা সামনে আসছে। পিছনে বড় কোনও গ্যাং রয়েছে বলেই মনে করছে পুলিস।
শহরের জনসংখ্যা বাড়ছে। কাজের প্রয়োজনে দূরদূরান্তের মানুষ জেলা সদর বারাসতে ভিড় বাড়াচ্ছেন। এই গরমে সিংহভাগ আবাসিক বাড়িতে এসি বসাচ্ছেন। আর এসির আউটডোরে থাকা তামার তার নিয়ে চম্পট দিচ্ছে দুষ্কৃতীরা। একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, মূলত অল্পবয়সিরা এই চক্রে জড়িত। তাছাড়া প্রত্যেকেই গাঁজা বা হেরোইনের নেশায় আসক্ত। নেশার টাকার জোগান দিতেই ‘ছিঁচকে’ চোরের উৎপাত বাড়ছে। স্থানীয় ছাড়াও পাশের এলাকা থেকে অল্পবয়সিরা বারাসতে এসে অপরাধ জগতে নাম লেখাচ্ছে বলেও খবর। তাদের টার্গেট হল ধনী এলাকা। তাছাড়া টার্গেটের দ্বিতীয়স্তরে আছে অফিসপাড়া।
পুলিসের একটি সূত্রে দাবি করা হয়েছে, ট্রেনে চেপে দুষ্কৃতীরা কপারের তার চুরি করে আবার ট্রেনেই চলে যায় শিয়ালদহে। গত বছর এই ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে বিভিন্ন তথ্য উঠে আসে পুলিসের কাছে। তাতেই তদন্তকারীরা জানতে পারেন, নেশার টাকা জোগাড় করতেই এই র্যাকেট চালায় ৩০ বছরের কমবয়সিরা। বারাসতের হৃদয়পুর, ডাকবাংলো, কলোনি মোড়, হরিতলা, আদালত চত্বর সহ বিভিন্ন এলাকায় একাধিক এসির তার চুরি করে। খোদ সদর শহর বারাসতে এই ধরনের ঘটনা ঘটায় পুলিসের নজরদারি নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন নাগরিকরা। হৃদয়পুরের বাসিন্দা অনিক চৌধুরী বলেন, কয়েকদিন আগেই আমাদের বাড়ির পাশে এক ব্যাঙ্ককর্মীর বাড়িতে এসির তামার তার কেটে নিয়ে চলে গিয়েছে। শুধু হৃদয়পুর বলেই নয়, এই গরমে শহরের বিভিন্ন এলাকাতে এই ঘটনা। তাই পুলিসের নজরদারি বাড়ানো দরকার। এ নিয়ে বারাসতের এসডিপিও আজিঙ্কে বিদ্যাগর অনন্ত বলেন, নেশারুদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান শুরু হয়েছে। তার চুরির বিষয়ে নজরদারি চালাতে নতুন করে রাতে বিশেষ অভিযান চালাব।