দুষ্কৃতীদের গুলি, ছিনতাই রুখতে গিয়ে যুবকের মৃত্যু বিষ্ণুপুরে
বর্তমান | ১৩ মে ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: টাকার ব্যাগ ছিনতাই করে পালাচ্ছিল দুষ্কৃতীরা। ধাওয়া করে তাদের আটকাতে গিয়ে গুলিতে মৃত্যু হল এক যুবকের। মৃতের নাম গোবিন্দ পাঁজা (৩২)। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বিষ্ণুপুর থানার পানাকুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ধারাপাড়ায়। তদন্তে নেমে পুলিস একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। যদিও বাকিরা পলাতক। তাদের খোঁজ চলছে। রবিবার রাতে মুরগি ব্যবসায়ী শঙ্কর ধারার কর্মচারী দেবাশিস প্রামাণিক বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে থেকে টাকা সংগ্রহ করে মালিকের বাড়িতে দিতে আসছিলেন। শঙ্করবাবুর বাড়ির ঠিক কাছেই দু’টি বাইকে চেপে চারজন এসে ওই কর্মচারীর রাস্তা আটকায়। অভিযোগ, ভয় দেখাতে প্রথমে শূন্যে এক রাউন্ড গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। এরপর একজন দেবাশিসবাবুর মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে টাকার ব্যাগ দিতে বলে। রাজি না হওয়ায় তাঁকে মারধর করে ব্যাগটি ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে চারজন।
ঘটনাটি চোখে পড়তেই গোবিন্দবাবু ধাওয়া করেন দুষ্কৃতীদের। তাদের কাছাকাছি গিয়ে আটকানোর চেষ্টা করেন তিনি। ধস্তাধস্তির মধ্যে বাইক থেকে পড়ে যায় দু’জন। তখনই একজন গুলি চালিয়ে দেয় গোবিন্দকে। এরপর চারজনই পালিয়ে যায়। গুরুতর জখম অবস্থায় যুবককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। ব্যবসায়ীর কর্মচারী বলেন, ব্যাগে প্রায় তিন লক্ষ টাকা ছিল। দুষ্কৃতীরা মুখ ঢেকে এসেছিল বলে চেনা যায়নি।
তবে এই প্রথম নয়, ওই মুরগির ব্যবসায়ী শঙ্কর ধারাকে আগেও টার্গেট করা হয়েছিল। তিনি বলেন, কিছুদিন আগে কয়েকজন দুষ্কৃতী বন্দুক ঠেকিয়ে আমার কাছ থেকে মোবাইল, টাকা, সোনার হার ছিনিয়ে নিয়েছে। এভাবে চললে ব্যবসা বন্ধ করে দিতে হবে। প্রশ্ন হল, একই দুষ্কৃতী দল কি এসবের পিছনে রয়েছে? পুলিস তদন্তে নেমে আশিক মোল্লা নামে এক দুষ্কৃতীকে পাকড়াও করেছে। সোমবার তাকে আদালতে তোলা হলে বিচারক ১০ দিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। এদিকে, পালানোর সময় যে বাইক ফেলে চলে গিয়েছিল ছিনতাইকারীরা, সেটাও পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। তবে এই ঘটনায় পুলিসের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন এলাকার মানুষ। তাঁদের দাবি, ঘটনাস্থল থেকে নেপালগঞ্জ পুলিস ফাঁড়ির দূরত্ব খুবই কম। তারপরও এমন কাণ্ড ঘটিয়ে কীভাবে পালাতে সক্ষম হল দুষ্কৃতীরা!