এই সময়, জলপাইগুড়ি: এক কৃষকের উপস্থিত বুদ্ধির ফলে বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেল দার্জিলিং মেল। কাশিয়াবাড়ির স্থানীয় কৃষক দীপু রায় (৪০) প্রতিদিনের মতো সোমবার বিকেলে মাঠের কাজ শেষ করে বাড়ি ফিরছিলেন।
সে সময়ে স্টেশনের খানিকটা আগে তাঁর নজরে আসে রেল লাইনে ফাটল রয়েছে। তখনও হলদিবাড়ি থেকে শিয়ালদহগামী দার্জিলিং মেল আসার কিছু সময় বাকি ছিল। আর দেরি করেননি দীপু। দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে নিজের ভাগ্নে অভিজিৎ রায়কে পুরো বিষয়টি জানান তিনি। দীপুর সৌজন্যেই খবর পৌঁছে যায় জলপাইগুড়ির আরপিএফের দপ্তরে।
এরপর দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আরপিএফের কর্মীরা। রেললাইনে ফাটল ধরা অংশ প্রাথমিক ভাবে ঠিক করা হয়। ততক্ষণে ট্রেন আসার সময় হয়ে গিয়েছিল। মেরামতির জন্য যদিও দার্জিলিং মেলের কোনও দেরি হয়নি।
রেলের কর্তাদের বক্তব্য, ‘ঠিক সময়ে ঘটনার কথা দীপু যদি না জানাতেন তাহলে বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারত।’ ওই ট্রেনটি চলে যাওয়ার পরেও নিউ জপাইগুড়ি-হলদিবাড়ি প্যাসেঞ্জার ওই লাইন দিয়ে চলেছে।
ঠিক সময়ে রেলের দৃষ্টি আকর্ষণ করায় এদিন রাতেই জলপাইগুড়ি টাউন ষ্টেশনের আরপিএফের পক্ষ থেকে দীপুকে পুরস্কৃত করা হয়। দীপু অবশ্য এতে কোনও কৃতিত্ব নিতে নারাজ। তাঁর বক্তব্য, ‘আমার জায়গায় যে কেউ থাকলে এই একই কাজ করতো বলেই আমার বিশ্বাস। এটা তেমন বড় কোনও ব্যাপার নয়।’
যার মাধ্যমে দীপু রেলের কর্তাদের কাছে খবর পৌঁছে দিয়েছিলেন সেই ভাগ্নে অভিজিৎ বলেন,‘ঘটনার কথা জানার পরেই ইন্টারনেটে আরপিএফের নম্বর জোগাড় করে ফোন করি। দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য রেল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ।’ পাড়ার ছেলের এমন পদক্ষেপে খুশি কাশিয়াবাড়ির বাসিন্দারাও।
রেল সূত্রে খবর, আজ, মঙ্গলবার কাশিয়াবাড়ির ওই রেল লাইনটি পরিদর্শন করতে যাবেন পূর্ব রেলের ইঞ্জিনিয়াররা। যদি কোথাও লাইনে সমস্যা থাকে সেক্ষেত্রে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পাশাপাশি, কাশিয়াবাড়ির লাইনে ফাটল কেন কারও চোখে পড়ল না সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।