• তিস্তার সঙ্কট কতটা? সমীক্ষায় মিলল বিপদের সঙ্কেত
    এই সময় | ১৩ মে ২০২৫
  • এই সময়, জলপাইগুড়ি: আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে নদী শাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলা। সেইসঙ্গে সাধারণ মানুষের মধ্যেও নদীর ব্যবহার সম্পর্কে সচেতন করতে হবে। তা না হলে আগামীতে তিস্তা অববাহিকায় বড় বিপদ ঘটতে পারে। দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে তিস্তা অববাহিকা পরিদর্শন ও বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহের পর এই কথা জানাল কলকাতার ফিলানথ্রপি নামে এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।

    সংগঠনের ইকো চ্যাম্প প্রজেক্টের মেন্টর সম্রাট মৌলিক এ দিন জলপাইগুড়ি প্রেস ক্লাবে একটি সাংবাদিক বৈঠকে তিস্তা নদী নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেন। তাঁদের এই অভিযানের রিপোর্ট সরকারের হাতে তুলে দেওয়ার পাশাপাশি দ্রুত ব্যবস্থা নেবার দাবি জানানো হবে বলে জানান তিনি।

    আবহাওয়ার পরিবর্তনের পর হিমবাহগুলির আউট বাস্ট হচ্ছে। সেইসঙ্গে ২০২৩ সালে সিকিম বিপর্যয়ের দু’বছর পর তিস্তা নদীর উপর তার প্রভাব কী রয়ে গিয়েছে, আগামী দিনে কী হতে পারে এই বিষয়গুলি নিয়ে গত মাসের ২৫ তারিখ থেকে সার্ভের কাজ শুরু করেছিলেন সম্রাটরা।

    এ দিন তিনি বলেন, ‘নর্থ সিকিমের চুংথাং থেকে হেঁটে অভিযান শুরু হয়। সেখানেই তিস্তার উৎপত্তি। ওই জায়গার নদী কী পরিস্থিতিতে আছে, তা পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি নদী অববাহিকার বসবাসকারীদের সঙ্গে কথা বলে তথ্য সংগ্রহ করা হয়।’

    সম্রাট জানান, সার্ভে করতে গিয়ে দেখা গিয়েছে ২০২৩ সালের ঘটনার পর চুংথাং এবং নাগাবস্তি এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এলাকায় নদী গর্ভে বালি–পাথর জমে গভীরতা কমেছে। একই পরিস্থিতি নদীর নীচের অববাহিকাতেও। গোটা নদীর অধিকাংশ এলাকার একই পরিস্থিতি।

    ভারি বৃষ্টি হলে বড় ধরনের ক্ষতি মুখে পড়তে পারেন সাধারণ মানুষ। সিকিমের মানুষের মধ্যে নদী এবং পরিবেশ সম্পর্কে কিছুটা সচেতনাতা চোখে পড়লেও এই রাজ্যের মানুষের মধ্যে, বিশেষ করে পর্যটকদের মধ্যে সেই সচেতনতা নেই বলে আক্ষেপ করেন তিনি। এই বিষয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হবে। পাশাপাশি তিস্তা পাড়ের স্কুলগুলির ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে পরিবেশ, নদী নিয়ে সচেতন করতে সংগঠনের পক্ষ থেকে কাজ শুরু করা হবে বলে জানান সম্রাট।

  • Link to this news (এই সময়)