পঞ্চায়েত নির্বাচনে অসমে একাধিক কেন্দ্রে জয়ী হয়েছে বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। অসমের আছলপাড়া, বান্দিয়া, দামপুর, গোবিন্দপুর আলগাপুর এবং বিনোদিনি পঞ্চায়েতে জয়ী হয়েছে জোড়াফুল শিবির। আর এই ফলাফল প্রকাশ হতেই দলের নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে ট্যুইট করলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
অভিষেক এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘তৃণমূল অসমে দ্রুত জমি শক্ত করছে। আছলপাড়া, বন্দিয়া, দমপুর, বিনোদিনী, গোবিন্দপুর–অলগাপুরে আঞ্চলিক পঞ্চায়েতে তৃণমূলের যে প্রার্থীর জয়ী হয়েছেন, তাঁদের অভিনন্দন জানাচ্ছি। অসমের মানুষ যে তৃণমূলকে সমর্থন করছে, তৃণমূলের উপরে আস্থা প্রকাশ করছে — এটা তারই প্রতিফলন।’
অসমে অনেকদিন ধরেই ঘুঁটি সাজাচ্ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অবশেষে অসমের মোট পাঁচটি আঞ্চলিক পঞ্চায়েত আসনে জয়লাভ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর তারপরই জয়ী প্রার্থীদের শুভেচ্ছা জানান অভিষেক। এক্স হ্যান্ডেলে সেই শুভেচ্ছা দিতেই জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এই পাঁচটি আঞ্চলিক পঞ্চায়েত আসনের মধ্যে দুটি গুরুত্বপূর্ণ কামরূপ জেলার আসন। তৃণমূল কংগ্রেস ২৮ জন জেলা পরিষদ প্রার্থী এবং ৪৪ জন আঞ্চলিক পঞ্চায়েত প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়েছিল। সাফল্য আসতেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘সদ্যসমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনে অসম প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেস ইউনিটের দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং সমন্বয়ের সঙ্গে প্রচেষ্টার জন্য আমি তাঁদের আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই। প্রতিটি মাইলফলক, যতই তুচ্ছ হোক না কেন, টেকসই প্রতিশ্রুতি এবং সম্মিলিত অধ্যবসায়ের ফলাফল।’
উল্লেখ্য, ২০২৪–এর লোকসভা নির্বাচনের পরে অসমে তৃণমূলকে ঢেলে সাজানো শুরু হয়। বেশ কয়েক মাস আগে পশ্চিমবঙ্গের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটককে ইনচার্জ করে অসমে তৃণমূলের সংগঠনকে গোছানোর কাজ শুরু হয়। অসম তৃণমূলের নতুন সভাপতি এবং কমিটি গঠিত হয়। বিভিন্ন শাখা সংগঠনের কমিটি গঠিত হয়। এই সাংগঠনিক পুনর্গঠনের পরেই পঞ্চায়েত ভোটের মুখোমুখি হয় তৃণমূল। সেখানে একক শক্তিতে অসমের একাধিক জায়গায় জোড়াফুল ফুটল। অসমে বাংলার শাসকদল তৃণমূলের ভীত মজবুত করতে সম্প্রতি দলনেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের অনুমোদনে অসম প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি, রাজ্য কোর কমিটি, রাজ্য কমিটি এবং শাখা সংগঠনের প্রধানদের নাম ঘোষণা করে অসমের বুকে সংগঠনকে শক্তিশালী করেছিল দল। প্রসঙ্গত, ২০২৬–এ পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে অসমেও বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। তার আগে এই সাফল্য উত্তর–পূর্ব ভারতের এই রাজ্যে জোড়াফুলকে বাড়তি মনোবল জোগাবে বলে তৃণমূল নেতৃত্ব মনে করছে। অভিষেক বন্ধ্যোপাধ্যায় তাই লিখেছেন , ‘এটা কেবল সূচনা মাত্র। নিরবচ্ছিন্ন প্রচেষ্টা ও জনসংযোগের মাধ্যমে এই মুভমেন্ট আরও শক্তিশালী হবে। তৃণমূল অসমের মানুষের সামনে বিশ্বাসযোগ্য ও অর্থবহ বিকল্প হিসেবে উঠে আসবে।’