• ধর্মীয় উস্কানি কিংবা দেশবিরোধী পোস্টের জের! দুই জেলায় শ্রীঘরে ৪ যুবক...
    ২৪ ঘন্টা | ১৩ মে ২০২৫
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো:  সোশ্যাল মিডিয়ায় দেশবিরোধী পোস্ট করার অপরাধে বসিরহাট শাঁকচুড়া থেকে গ্রেফতার এক যুবক। সামাজিক মাধ্যমে দেশবিরোধী তথা বিতর্কিত পোস্ট করে শ্রীঘরে যুবক। বসিরহাট থানার শাঁকচুড়া এলাকা থেকে সাইফুদ্দিন আহমেদ নামক এক যুবককে গ্রেফতার করলো বসিরহাট সাইবার ক্রাইমথানার পুলিস।

    এই যুবক সামাজিক মাধ্যমে নিজের প্রোফাইলে একাধিক বিতর্কিত ছবি-সহ দেশবিরোধী প্রচুর পোস্ট করে। যেখানে  দেশের প্রধানমন্ত্রী ও সেনাবাহিনীর মহিলা আধিকারিকদের ছোট করে দেখানো এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ও তাদের সেনাবাহিনীর আধিকারিকদের পক্ষ নিয়ে  সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট ছিল।

    সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট ভাইরাল হতেই বসিরহাটের বাসিন্দা এক যুবক বসিরহাটের সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে তদন্তে নেমে বসিরহাট সাইবার ক্রাইম থানার পুলিস বসিরহাটের শাঁকচুড়া এলাকা থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। ধৃতকে মঙ্গলবার তিন দিনের হেফাজতে নেবার আবেদন জানিয়ে বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়।

    অন্যদিকে, ভারত পাক যুদ্ধ পরিস্থিতির মাঝেই ফেসবুকে গাজওয়াতুল হিন্দ-এর কথা বলে ধর্মীয় বিদ্বেষ মূলক পোস্ট। পোস্টদাতাকে গ্রেফতার করে আসল প্রচারকের খোঁজ শুরু করল পুলিস। সামাজিক মাধ্যমে দেশ বিরোধী পোস্ট করার জন্য আগেই বাঁকুড়ার রাইপুর ও বড়জোড়ার দুই যুবককে গ্রেফতার করেছিল পুলিস। এবার গাজওয়াতুল হিন্দ এর কথা বলে সামাজিক মাধ্যমে ধর্মীয় বিদ্বেষমূলক পোস্ট দেওয়ায় গ্রেফতার করা হল এক যুবককে।

    সোমবার রাতে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর থানার বগডহরা গ্রামের অভিযুক্ত যুবক মোস্তাক মন্ডলকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। এদিন ধৃতকে বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হচ্ছে। ভারত পাক যুদ্ধ পরিস্থিতিতে সামাজিক মাধ্যমে দেশ বিরোধী এবং ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানোর চেষ্টা হতে পারে এই আশঙ্কায় নজরদারি জোরদার করেছে বাঁকুড়া জেলা পুলিস।

    লাগাতার নজরদারি চালানোর সময় গতকাল বিষ্ণুপুর থানার পুলিসের নজরে আসে বিষ্ণুপুর থানার বগডোহরা গ্রামের মোস্তাক মন্ডল নামের এক যুবক গাজওয়াতুল হিন্দ- এর নাম করে সামাজিক মাধ্যমে ধর্মীয় বিদ্বেষমূলক পোস্ট করে বিদ্বেষ ছড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। এরপরই ওই যুবকের বিরুদ্ধে স্বত:প্রণোদিত মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করে।

    গ্রেফতার করা হয় মোস্তাক মন্ডলকে। তদন্তে পুলিস জানতে পেরেছে কেউ বা কারা এই বিদ্বেষমূলক পোস্ট তৈরী করে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের গ্রুপে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। তেমনই একটি গ্রুপ থেকে ওই বিদ্বেষমূলক পোস্ট সংগ্রহ করে মোস্তাক মন্ডল তাঁর সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। 

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)