• 'বাবা হাত চেপে ধরে, দাদা গলা টিপে খুন করে', মায়ের খুনিদের ধরিয়ে দিল শিশুকন্যা! হাড়হিম হাওড়া...
    ২৪ ঘন্টা | ১৩ মে ২০২৫
  • দেবব্রত ঘোষ: শিশুকন্যার সামনেই মাকে খুন। অভিযোগ, ওই শিশুর বাবা ও দাদার বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার জগাছা থানার অন্তর্গত ইছাপুর এলাকায়। ওই শিশুকন্যার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ, বাবা মায়ের হাত চেপে ধরেছিল। আর দাদা শ্বাসরোধ করে খুন করে মাকে (Howrah Incident)। 

    স্থানীয়রা জানিয়েছেন, পেশায় ব্যবসায়ী জিতেন্দ্র জয়সওয়ালের সঙ্গে বউ সুলেখা জয়সওয়াল ও ছেলে শেখর জয়সওয়ালের দীর্ঘদিন ধরেই বিবাদ চলছিল। রাতে সুলেখা দেবীর শিশুকন্যার চিৎকারে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে আসেন। তাঁরাই এসে প্রথম দেখেন, সুলেখা জয়সওয়ালের নিথর দেহ। সঙ্গে সঙ্গেই খবর দেওয়া হয় জগাছা থানায়। পুলিস এসে অভিযুক্ত দুজন জিতেন্দ্র জয়সওয়াল ও ছেলে শেখর জয়সওয়ালকে আটক করে নিয়ে যায়। ওদিকে নাবালিকা শিশুকন্যাকে উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। অভিযুক্তদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ওদিকে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। জবানবন্দি নেওয়া হবে শিশুকন্যারও। 

    এর আগে মধ্যপ্রদেশের ঝাঁসিতে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনার তদন্তেও পুলিসের প্রধান অবলম্বন হয় ৪ বছরের শিশুর একটি খাতা। যেখানে সে ছবি এঁকে এঁকে দেখিয়ে দিয়েছিল, কীভাবে মাকে অত্যাচার করে বাবা মেরে ফেলেছে। ৪ বছরের শিশুকন্যা এঁকে পুলিসকে বুঝিয়ে দেয়, ‘বাবাই খুন করেছে, মা আত্মহত্যা করেনি!’ পুলিসকে ওই খুদে জানায়, কীভাবে মাকে মাথায় ভারী পাথর দিয়ে আঘাত করে খুন করেছে বাবা। এরপর গলায় দড়ি বেঁধে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।

    ঝাঁসির কোতোয়ালি এলাকায় অস্বাভাবিকভাবে মৃত্যু হয় বছর সাতাশের এক গৃহবধূর। শ্বশুরবাড়ি থেকে জানানো হয় যে, শারীরিক অসুস্থতার পর হঠাৎই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে মেয়ে। পুলিস ঘটনাস্থলে এসে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে। পুলিস সূত্রে খবর, প্রথমে ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলেই মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু তদন্তকারীদের সেই ‘ভুল’ ভাঙিয়ে দেয় মৃতার ৪ বছরের শিশুকন্যা।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)