দিলীপ ঘোষের স্ত্রী রিঙ্কু মজুমদারের একমাত্র ছেলের রহস্যমৃত্যু হয়েছে মঙ্গলবার। মায়ের বিয়ের এক মাসও হয়নি এখনও। এরই মধ্যে ছেলেকে হারানোর শোক। গত ১৮ এপ্রিল বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ ও রিঙ্কু মজুমদার। দিলীপ ঘোষের প্রথম বিয়ে হলেও রিঙ্কুর দ্বিতীয় বিয়ে এটি। রিঙ্কুর ও তাঁর প্রথম স্বামীর এক ছেলে, প্রীতম। প্রথম স্বামীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছিন্ন হলেও ছেলে থাকতেন মায়ের কাছেই। দিলীপ-রিঙ্কুর বিয়ের সকালে এই সময় অনলাইন যোগাযোগ করেছিল প্রীতমের সঙ্গে। খোলা মনে তিনি জানিয়েছিলেন, মায়ের বিয়ে নিয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া।
সল্টলেকে একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার কর্মী ছিলেন প্রীতম মজুমদার। গত ১৮ এপ্রিল এই সময়ের তরফে প্রীতমকে ফোন করা হলে, তিনি জানিয়েছিলেন, মায়ের বিয়েতে থাকতে পারছেন না তিনি। সেই সময় কলকাতার বাইরে ছিলেন।
ইচ্ছে করেই কি মায়ের এই বিশেষ দিনে শহরের বাইরে থাকা? প্রীতম জানিয়েছিলেন, অনেক দিন আগেই তাঁর বেড়ানোর প্ল্যান হয়েছিল। মায়ের বিয়ের ডেট ফাইনাল হওয়ার পর তিনি বেশ দোটানায় পড়েন। দিলীপ ঘোষ ও রিঙ্কু মজুমদার, দু'জনেই বলেছিলেন, এই প্ল্যান বাতিল না করতে। তাই থাকতে পারেননি। তবে মায়ের দ্বিতীয়বার বিয়ের পিঁড়িতে বসায়, তিনি খুশি বলেও জানিয়েছিলেন। মা এবং মায়ের নতুন জীবনসঙ্গীর জন্য শুভেচ্ছাবার্তাও ছিল প্রীতমের তরফে। বলেছিলেন, ‘ওঁদের আগামিদিন খুব ভালো কাটুক।’
দিলীপ-রিঙ্কু দুজনই বিজেপি করেন। প্রীতম জানিয়েছিলেন, তাঁদের রাজনৈতিক আদর্শের মিল, ব্যক্তিগত জীবনকেও সুখকর করবে বলেই তাঁর বিশ্বাস। দিলীপ ঘোষের সঙ্গেও যে তাঁর দারুণ বন্ডিং, তেমনটাও দাবি করেছিলেন সে দিন। বলেছিলেন, ‘আমাদের অনেক দিন ধরেই কথাবার্তা হয়। তবে মায়ের সঙ্গে বিয়ের পর সম্পর্কেও বদল আসবে। মায়ের সঙ্গে বিয়ে হচ্ছে, বাবা বলেই ডাকব।’
প্রীতম জানিয়েছিলেন, নানা সামাজিক কাজকর্মে তিনি যুক্ত। তবে সক্রিয় ভাবে রাজনীতিতে যোগদানের কোনও পরিকল্পনা নেই এখনই। সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে সমাজের জন্য কাজ করবেন বলে জানিয়েছিলেন।