• কলকাতার ঋতুরাজের স্মৃতি উসকোল দিঘা, সৈকত নগরীর হোটেলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পিছনে কারণ কী?
    এই সময় | ১৩ মে ২০২৫
  • কলকাতার বড়বাজারের ঋতুরাজ হোটেলের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড এখনও সকলের স্মৃতিতে টাটকা। দম আটকে মৃত্যু হয়েছিল ১৪ জনের। সেই অগ্নিকাণ্ডের স্মৃতি ফের উসকে দিল সৈকত নগরী দিঘা। সেখানকার জনপ্রিয় হোটেলে আগুন লেগে যাওয়ার ঘটনায় ছড়াল ব্যাপক চাঞ্চল্য।

    জানা গিয়েছে, সোমবার রাত্রি সাড়ে বারোটা নাগাদ ওল্ড দিঘার রানসউইক হাউস সংলগ্ন একটি বেসরকারি হোটেলের চার তলায় আচমকা দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে দেখা যায়। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন পর্যটক থেকে স্থানীয়রা। খবর যায় দমকলে। ছুটে আসে স্থানীয় দিঘা মোহনা থানার পুলিশও। তার পর পুলিশ কর্মীদের তৎপরতায় তড়িঘড়ি হোটেলের মধ্যে থাকা প্রায় ১৭ জন পর্যটক ও হোটেল কর্মীদের বাইরে নিরাপদ আশ্রয় নিয়ে আসা হয়।

    এদিকে ক্রমশও বাড়তে থাকে আগুনের লেলিহান শিখা। মুহূর্তের মধ্যে চারিদিক কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। রামনগর ফায়ার স্টেশনে খবর দেওয়া হলে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে দমকলের দুটি ইঞ্জিন। দীর্ঘ এক থেকে দেড় ঘন্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন।

    পুলিশ ও হোটেল সূত্রে খবর, শর্ট সার্কিটের কারণে এই অগ্নিকাণ্ড। হোটেলের মধ্যে থাকা লিফটের চ্যানেলের ওপরের অংশে শর্ট সার্কিটের ঘটনা ঘটে। এর ফলে লিফটের মোটরে আগুন ধরে যায়। সেখান থেকেই ছড়িয়ে পড়ে আগুন।

    এই ঘটনার পর থেকেই পর্যটন শহর দিঘার হোটেলগুলিরও অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। স্থানীয়দের দাবি, নিউ দিঘা ও ওল্ড দিঘায় একাধিক হোটেলে অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা নেই। ঘিঞ্জি এলাকায় অবস্থিত হোটেলগুলি। ফলে যে কোনও মুহূর্তে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। দিঘা মোহনা থানার ওসি অরুণ কুমার পতি জানান, ‘প্রাথমিকভাবে লিফটে শর্ট-সার্কিটের জেরে আগুন বলে জানা গিয়েছে। গোটা ঘটনায় তদন্ত চলছে। পর্যাপ্ত অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা ছিল নাকি সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

  • Link to this news (এই সময়)