দিলীপ ঘোষের স্ত্রী রিঙ্কু মজুমদারের সন্তানের আচমকা মৃত্যু ঘিরে শুরু হয়েছিল একাধিক জল্পনা। ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে উড়িয়ে দেওয়া হলো রহস্যমৃত্যুর সব জল্পনা। রিঙ্কু মজুমদারের ছেলে সৃঞ্জয় দাশগুপ্তের (ডাকনাম প্রীতম) মৃত্যুতে আত্মহত্যা বা খুনের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে।
কোনওরকম ফাউল প্লে বা রহস্যজনক ঘটনা নেই বলেই মনে করা হচ্ছে। এই মৃত্যু স্বাভাবিক বলেই জানানো হয়েছে। মৃত্যুর সম্ভাব্য কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে অ্যাকিউট হেমারেজিক প্যানক্রিয়াটাইটিস। মারাত্মক প্রদাহের ফলে অগ্ন্যাশয়ের ভিতরে ও বাইরে রক্তক্ষরণকেই মৃত্যুর কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই ইনফ্লেমেশন বা প্রদাহের জন্যই মৃতের লিভার ও কিডনির আকার বেড়ে গিয়েছিল।
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, জেনেটিক কারণ ছাড়াও মাত্রাতিরিক্ত মদ্যপান এবং কিছু ওষুধ বাড়াবাড়ি সেবন করলে এই সমস্যা হতে পারে।
নিমতলা ঘাটে প্রীতমের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। সে সময়ে সেখানে ছিলেন দিলীপ ঘোষ। তার আগে শ্রদ্ধা জানাতেও আসেন দিলীপ ঘোষ। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে ছলছল করে ওঠে তাঁর চোখ। তিনি বলেন, ‘কল্পনা করতে পারছি না। ওর মা সকালে রান্না করছিল, তখনই ফোন এলো, দৌড়ে চলে গিয়েছে সেই অবস্থায়।’ ছেলের মৃত্যুর ঘটনায় শোকে পাথর মা রিঙ্কু মজুমদার। তাঁকে পাশে নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘মায়ের সব কিছু ছিল ছেলে। এত কষ্ট করে মানুষ করেছে। সর্বগুণ সম্পন্ন ছেলে ছিল। আমাকে খুবই ভালবাসতো... আমারও তার প্রতি একটা মোহ এসে গিয়েছিল। দুর্ভাগ্য আমার, পুত্রসুখ হয়নি, পুত্রশোক হল... কোনওদিন মনে করিনি এমন হবে।’