• 'ওর মনে স্বপ্ন ছিল, আমার সঙ্গে থাকবে,' ছেলের মৃত্যুতে যা যা বললেন দিলীপ-জায়া রিঙ্কু
    আজ তক | ১৪ মে ২০২৫
  • বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের স্ত্রী রিঙ্কু মজুমদারের ছেলের রহস্যমৃত্যু। গত রাতেও মা রিঙ্কুর সঙ্গে ফোনে কথা হয় ছেলে সৃঞ্জয় দাশগুপ্ত (প্রীতম)-এর। কী কারণে মৃত্যু হল সৃঞ্জয়ের? মায়ের থেকে আলাদা থাকার কারণে কোনওভাবে অবসাদে ভুগছিলেন? নিজেই জানালেন মা রিঙ্কু।

    শোকার্ত রিঙ্কু এদিন সাংবাদিকদের বলেন, "আমি মা তো, আমি বুঝতে পারতাম ৩-৪ দিন ধরে মনটা ঠিক ছিল না। ওকে বলেছিলাম শিগগিরই নিয়ে আসব। খুব আনন্দে ছিল একসঙ্গে থাকব। ওর মনে মনে স্বপ্ন ছিল আমার সঙ্গে থাকবে। দেড় বছর আগেও একবার অচৈতন্য হয়ে পড়েছিল। স্নায়ুর চিকিৎসা চলছিল। ক'দিন ধরে ওষুধ ঠিক করে খাচ্ছিল না।"

    দিলীপ ঘোষের সঙ্গে বিবাহের পর একাই থাকতেন ছেলে। রিঙ্কু জানান, "ছেলে বলেছিল তোমরা তো ঘর করবে। আমি বলেছিলাম তুই আগে থাকতে শুরু করবি, রুম পরে তৈরি হবে। আমি কয়েকদিন ধরেই বুঝতে পারছিলাম ছেলেটা খাচ্ছিল না, ঠিক করে ঘুমোচ্ছিল না। রান্নার লোক এসে ফিরে চলে যেত। আমাকে বুঝতে দেয়নি। ঘুম থেকে উঠেই অফিসে চলে যাচ্ছিল। আমি রাতেই ভাবছিলাম ওঁর (দিলীপ ঘোষ) সঙ্গে কথা বলব। আমি ভাবছিলাম ওঁকে বলব, ছেলেকে নিয়ে আসব। হয় আমাকে এখানে থাকতে হবে, নয় ছেলেকে নিয়ে আসতে হবে। ও নিজেই বলছিল আমাদের বাড়িঘর আছে এখানে কীকরে থাকব।"

    কাল রাত ১২টার সময় কথা হয় মা-ছেলের। রিঙ্কু নিজেই জানান, 'ওর অফিসের ২ সহকর্মী এসেছিলেন। একজন রাত ১০টায়, আরেকজন রাত ৩টেয় এসেছিল। আমি যখন সকালে ওকে দেখি অচৈতন্য অবস্থায় পড়েছিল। পাড়ার ২ জন পায়ে ম্যাসাজ করে দিচ্ছিল। অ্যাম্বুলেন্স কখন আসবে আর দেরি করিনি। আগে আমিই গাড়ি নিয়ে ওকে হাসপাতালে নিয়ে যাই।'

    রিঙ্কু আরও বলেন, "ও মাদার্স ডে সেলিব্রেট করতে এল রবিবার। কেক, গিফট নিয়ে এসেছিল। শনিবার বলেছিল বন্ধুর বাড়ি যাবে। তারপর রবিবার এসেছিল। একসঙ্গে সোনার দোকানে গিয়েছিলাম। গাড়ি করে চলেও এলাম। রবিবার এলে বললাম থেকে যা, বলল পরে আসব।"

    উল্লেখ্য, সল্টলেকে বেসরকারি IT সংস্থায় কাজ করতেন সৃঞ্জয় ওরফে প্রীতম। গুড ফ্রাইডে এবং এক্সটেন্ডেড উইকএন্ডে কলকাতার বাইরে বেড়াতে যাওয়ায় গত ১৮ এপ্রিল মায়ের সঙ্গে দিলীপ ঘোষের বিয়েতে উপস্থিত থাকতে পারেননি। জানিয়েছিলেন, দিলীপ-রিঙ্কুই বলেছিলেন, প্ল্যান ক্যান্সেল না করতে।
     
  • Link to this news (আজ তক)