• ‘আমার সঙ্গে থাকতে চাইত ছেলে’, জানালেন রিঙ্কু, কী ঘটে মৃত্যুর আগের রাতে, সঙ্গে ছিলেন কে?
    প্রতিদিন | ১৪ মে ২০২৫
  • রমেন দাস: রাতভর তিনবন্ধু পার্টি করেন সাপুরজি আবাসনে। মঙ্গলবার সকালেই যাওয়ার কথা ছিল মামার বাড়ি। সকাল ৯ টা পর্যন্ত নিঃশ্বাসের শব্দ পেয়েছেন পাশে শুয়ে থাকা ছেলেটি! তারপরই অবচেতন দেহ উদ্ধার হয় দিলীপ ঘোষের স্ত্রী রিঙ্কু মজুমদারের প্রথম পক্ষের পুত্র সৃঞ্জয় দাশগুপ্তের। তাঁর বান্ধবী এসে খবর দেন রিঙ্কুকে। হাসপাতালে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। রিঙ্কু বলেন, “আমার সঙ্গে থাকতে চাইত ছেলে। দিলীপের সঙ্গে কথাও হয়েছিল।” 

    বিজেপি নেত্রী রিঙ্কু মজুমদারের ছেলে সৃঞ্জয় ওরফে প্রীতমের রহস্যমৃত্যুকে কেন্দ্র করে একাধিক প্রশ্ন উঠছে। কী কারণে মৃত্যু? পেশায় আইটি কর্মী কি আত্মঘাতী হয়েছেন? নাকি পিছনে রয়েছে অন্য কোনও কারণ। ঘটনার তদন্তে পুলিশ।

    সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, হই হুল্লোড় করতে ভালোবাসা সৃঞ্জয় বেশ কিছুদিন ধরেই স্নায়ু রোগের ওষুধ খাচ্ছিলেন। সোমবার রাতে বন্ধুদের নিয়ে বাড়িতে পার্টি করেন। সঙ্গে ছিলেন অফিসের দুই সহকর্মী। একজন রাত সাড়ে দশটা-এগারোটা নাগাদ এসেছিলেন। অন্যজন আসেন রাত তিনটে নাগাদ। রাতে পার্টির পর এক যুবক সৃঞ্জয়ের সঙ্গে থেকে যান। এই যুবক দুই বন্ধুর মধ্যে কেউ কি না, তা জানা যায়নি। সকালে সৃঞ্জয়ের বান্ধবী বাড়িতে এসে দেখেন অচেতন অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। তিনি রিঙ্কুকে ফোন করে বলেন, “আপনি তাড়াতাড়ি আসুন, ওর বডি (শরীর) নীল হয়ে গিয়েছে।” এরপরই তড়িঘড়ি ছুটে যান রিঙ্কু। তাঁর কথায়, “ফোন পেয়ে ছুটে যাই। দেখি কয়েকজন ওর হাত-পা মালিশ করছে। অ্যাম্বুল্যান্সের জন্য অপেক্ষা না করে গাড়িতেই হাসপাতালে নিয়ে যাই।”

    রিঙ্কু জানিয়েছেন, দিলীপ ঘোষের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হওয়ার পর একা থাকছিলেন ছেলে। কোথাও তাঁকে একাকীত্ব গ্রাস করছিল। এমনকী রান্নার লোকও মাঝে মধ্যেই বাড়ি থেকে ফিরে যেতেন। ছেলে না খেয়েই অফিস যাচ্ছেন সেই খবরও পেয়েছিলেন তিনি। তাঁকে নিজের কাছে নিয়ে এসে রাখার জন্য দিলীপের সঙ্গে তিনি কথাও বলেছিলেন বলে জানিয়েছেন রিঙ্কু। এদিকে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, সোমবার গভীর রাতে মায়ের সঙ্গে কথা হয় প্রীতমের। সেখানে তিনি জানিয়েছিলেন, মঙ্গলবার সকালে তিনি মামা বাড়ি যাবেন।

    এবার প্রশ্ন সকাল ৯টা পর্যন্ত নিঃশ্বাসের (নাক ডাকার) শব্দ পাওয়া যাওয়ার পর হঠাৎ কী হল যে মৃত্যুর মুখে ঢোলে পড়লেন সৃঞ্জয়। তাঁর সঙ্গে থাকা ছেলেটি বুঝতে পারলেন না? পারলে কেন তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলেন না। রিঙ্কুপুত্রের বান্ধবী কি রাতে তার সঙ্গেই ছিলেন? তাঁদের মধ্যে কি কোনও মনোমালিন্য তৈরি হয়েছিল? নাকি ছেলেবেলা থেকে মায়ের কাছেই বড় হওয়া সৃঞ্জয় মায়ের থেকে দূরে চলে যাওয়াকে মেনে নিতে পারছিলেন না? সেই কারণে আত্মঘাতী। নাকি কোনও শারীরিক সমস্যার কারণে খুন! ময়নাতদন্তের পরই সবটা স্পষ্ট হবে।
  • Link to this news (প্রতিদিন)