বাড়ছে গরমের দাপট। সেই সঙ্গে হু হু করে নেমে যাচ্ছে ভূগর্ভস্থ জলের স্তর। এই অবস্থায় মাটির নিচে থেকে জল তোলার ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিষেধ জারি করেছে প্রশাসন। এখন কোনও বহুতলেই ভূগর্ভস্থ জল তোলা যাবে না বলে নির্দেশ জারি করেছে উলুবেড়িয়া পুরসভা। কিন্তু সেই নির্দেশ এবং নিষেধাজ্ঞাকে উপেক্ষা করেই বহুতল আবাসনে ভূগর্ভ থেকে জল তোলা হচ্ছে বলে অভিযোগ।
দিন কয়েক আগেই উলুবেড়িয়া পুরসভার ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের লতিবপুরে একটি বহুতল আবাসনে ভূগর্ভ থেকে জল তোলার চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এই বিষয়টি পুরসভার নজরে আসার পরেই সেই কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু কয়েকদিন যেতে না যেতেই একই ঘটনা। এ বার এই ঘটনা ঘটেছে উলুবেড়িয়া পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের ফুলেশ্বর বেলতলার একটি বহুতল আবাসনে। এই ক্ষেত্রেও বিষয়টি নজরে আসার পরেই কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে উলুবেড়িয়া পুরসভা।
উলুবেড়িয়া পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, মাটির নিচে জলস্তর নেমে গিয়েছে। এই কারণে মাটির নিচে থেকে জল তোলার ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিষেধ জারি করেছে প্রশাসন। উলুবেড়িয়া পুরসভা এলাকাতেও মাটির নিচে থেকে জল তোলার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি আছে। তবে অনেকেই সেই নিষেধাজ্ঞা এবং নির্দেশ মানছেন বলে অভিযোগ।
শ্রমিক এবং স্থানীয়রা জানান, আগে ৪৫০ ফুট পর্যন্ত পাইপ নামালেই জল পাওয়া যেত। এখন জলস্তর নেমে গিয়েছে। তাই এখন ৬৫০ ফুট পর্যন্ত পাইপ নামালে তবেই জল পাওয়া সম্ভব।
এই ভাবে মাটির নিচের জল তোলায় ঘটনায় ক্ষুব্ধ পরিবেশকর্মীরা। তাঁদের মতে, কয়েকটি বহুতলে অনেক আগে থেকেই ভূগর্ভ থেকে জল তোলা হয়। যদিও সেখানে জলস্তর কমে যাওয়ায় জল পাওয়া যাচ্ছে না । এই কারণে নতুন করে অন্য জায়গা থেকে জল তোলার চেষ্টা হচ্ছে। পরিবেশকর্মীদের মতে, যেভাবে হু হু করে মাটির নিচে জলস্তর কমছে তাতে এই ব্যাপারে কড়া আইনি পদক্ষেপ না নিলে আগামী দিনে ভয়ঙ্কর বিপদ নেমে আসবে।
যদিও পুরসভার আধিকারিকদের দাবি, এই নিয়ে অভিযোগ এলে সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ করা হয়। উলুবেড়িয়া পুরসভার চেয়ারম্যান অভয় দাস এবং ভাইস-চেয়ারম্যান ইনামুর রহমান জানান, সরকারের নির্দেশ আনুসারে ভূগর্ভ থেকে কোনওভাবেই জল তোলা যাবেনা। তাই বহুতল আবাসনে ভূগর্ভ থেকে জল তোলার খবর পাওয়ার পরেই কাজ বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আবাসিকরা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পুরসভায় জমা দিলে পুরসভা ওই আবাসনে জলের সংযোগ দিয়ে দেবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।