নিজস্ব প্রতিনিধি: কোচবিহার: ছাদের চাঙড় ভেঙে পড়ছে। গলির পেভার ব্লক আলগা হয়ে যাওয়ায় নীচে জমে থাকছে জল। সেই পেভার ব্লকে পা দিতেই কাদা ছিটছে গায়ে। কার্যত প্রাণ হাতে করে একাংশ ব্যবসায়ী ব্যবসা করছেন। ক্রেতারা ভয়ে ভয়ে বাজারে ঢোকেন। দীর্ঘদিন ধরেই কোচবিহারের ঐতিহ্যবাহী ভবানীগঞ্জ বাজারের এমনই বেহাল দশা। সামনে বর্ষা আসছে। এই পরিস্থিতিতে বাজারে যদি বড়সড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটে তখন তার দায় পুরসভাকেই নিতে হবে বলে দাবি করল জেলা ব্যবসায়ী সমিতি। মঙ্গলবার জেলা ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। ব্যবসায়ীদের দাবি, বাজারটি দ্রুত সংস্কার করা হোক। ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মতিলাল জৈন বলেন, বিল্ডিং থেকে চাঙড় ভেঙে পড়ছে। যদি কোনও দুর্ঘটনা ঘটে তার দায়িত্ব পুরসভাকে নিতে হবে। এরপরেও যদি কাজ না হয় তাহলে আমাদের বড় কোনও পদক্ষেপ নিতে হবে। বাজার সংস্কারের ক্ষেত্রে কিছু বিল্ডিং খালি করতে হবে। কিন্তু এর জন্য একটা চুক্তি করতে হবে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে। ট্রেড লাইসেন্স ফি কমানো, মিউটেশন ফি কমানোর দাবি জানানো হয়েছে। চেয়ারম্যান বুধবার বাজার পরিদর্শনে আসবেন বলেছেন। এছাড়াও শহরের অন্যান্য বাজার সংস্কারের কথা নিয়েও এদিন আলোচনা হয়েছে। পুর চেয়ারম্যান বলেন, ভবানীগঞ্জ বাজারের পুরনো ব্লিডিং থেকে চাঙড় ভেঙে পড়ার ব্যাপারে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন। ওই বাজারে সংস্কার কাজ করতে হলে একাংশ ব্যবসায়ীকে সরতে হবে। কিন্তু আমাদের হাতে কোনও জায়গা নেই। রাস্তা মেরামত, সব্জি ও মাছ বাজার সংস্কার নিয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রত্যেক ব্যবসায়ীর ট্রেড লাইসেন্স বানানো, দোকানে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা গড়ে তোলার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বাজারের ভিতরে রান্না না করা কথা বলা হয়েছে। আমি বাজার পরিদর্শনে যাব। বর্ষায় ভবানীগঞ্জ বাজারে গেলে ফিরে এসে স্নান করতে হয় বলে ক্রেতাদের অভিযোগ। কারণ পেভার ব্লকের নীচ থেকে কাদা ছিটে গায়ে লাগে। ভিতরের একাংশ দোকানের অবস্থা এতোটাই খারাপ যে মাঝেমাধ্যে দুর্ঘটনা ঘটছে। চাঙড় ভেঙে ক্রেতা-বিক্রেতারা আহত হচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে বাজারটি দ্রুত সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে।