• ভূমি সংস্কার দপ্তরের পোর্টালেই নেই বেশ কয়েকটি মৌজার তথ্য!
    বর্তমান | ১৪ মে ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, রানাঘাট: দু’-একদিন নয়, তিনমাস ধরে বাংলার ভূমি পোর্টালে জমির তথ্য খুঁজতে গিয়ে হয়রান হতে হচ্ছে রানাঘাটের বেশকিছু মৌজার বাসিন্দাদের। একাধিক মৌজার তথ্য থাকলেও, নির্দিষ্ট কিছু মৌজার তথ্য গায়েব! ফলে জমির মিউটেশন হোক অথবা অন্য কাজে জমির বৈধ কাগজ জমা দিতে গিয়ে হয়রানর একশেষ হতে হচ্ছে আমজনতাকে। উপায়ন্তর না দেখে বিএলআরও অফিস কিংবা দালালের দুয়ারেই ছুটতে হচ্ছে তাঁদের। স্বভাবতই মাসের পর মাস সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ পোর্টালের এই হাল নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। 

    রানাঘাট মহকুমার রানাঘাট ১ ব্লকের ১১৫টি মৌজা মূলত কৃষি প্রধান এবং অধিকাংশই গ্রামীণ এলাকার। ফলে কৃষক বন্ধু প্রকল্প অথবা চাষের জন্য ঋণ নেওয়ার দরকার পড়ে বাসিন্দাদের। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, বাংলার ভূমি পোর্টালে মাসের পর মাস ওই ব্লকের একাধিক মৌজার কোনও তথ্যই মিলছে না! এর মধ্যে অন্যতম ১৭ নম্বর কামগাছি মৌজা এবং ১৪৪ নম্বর ঘোড়াগাছা মৌজা। সেখানকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, দিনের পর দিন তাঁরা বাংলার ভূমি পোর্টালে জমির তথ্য খুঁজে হয়রান হয়ে যাচ্ছেন। পোর্টালে তথ্য না পাওয়ায় ছুটতে হচ্ছে রানাঘাট শহরে বিএলআরও অফিসে। কিছু কিছু সরকারি দপ্তরের কর্তাদেরও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে পোর্টালে সংশ্লিষ্ট মৌজাগুলির তথ্য না থাকায়। যেমন, কেউ কৃষকবন্ধু প্রকল্পের জন্য আবেদন করলে কৃষিদপ্তরকে জমির কাগজপত্র ভেরিফাই করতে হয় বাংলার ভূমি পোর্টাল থেকেই। কিন্তু পোর্টালে তথ্য না পেয়ে বিপাকে পড়ছেন কৃষিদপ্তরের কর্মীরা। কৃষিদপ্তরের একটি সূত্র বলছে, রানাঘাট ১ ব্লকের ক্ষেত্রে মূলত সমস্যা হচ্ছে কামগাছি এবং ঘোড়াগাছা মৌজার ক্ষেত্রেই। বিষয়টি নিয়ে ঘোড়াগাছা মৌজার অরূপ বিশ্বাস বলেন, প্রায় তিন মাস ধরে আমি চেষ্টা করে দেখেছি। পোর্টালে তথ্য পাচ্ছি না। দালালদের কাছে গেলে হয়তো সমস্যা মিটত। কিন্তু তাতে অতিরিক্ত টাকা লাগবে। আমাদের পাশের মৌজার তথ্য দেখাচ্ছে বাংলার ভূমি পোর্টালে। তাহলে কেন ঘোড়াগাছা মৌজার তথ্য থাকবে না? প্রশাসনের উচিত এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ পোর্টালের খামতিগুলি নজরে রাখা। কারণ দিনের শেষে আমাদের মতো সাধারণ মানুষকেই হয়রানি শিকার হতে হয়। 

    সরকারি পোর্টালে যে ওই দুই মৌজার তথ্য মিলছে না তা স্বীকার করে নিয়েছেন রানাঘাট ১ ব্লকের ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক অজয়কুমার বিশ্বাস। তিনি বলেন, এটা ঠিক যে নির্দিষ্ট ওই দু’টি মৌজার তথ্য পোর্টালে দেখা যাচ্ছে না। এই সমস্যা আমরা সমাধানের চেষ্টা করব। আমি জেলাস্তরে বিষয়টি জানাচ্ছি। যাঁরা পোর্টাল দেখেন তাঁদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে অনুরোধ করব। আশা করছি দ্রুত সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
  • Link to this news (বর্তমান)