• লালবাগে ঢালাই রাস্তার কাজ শুরু, শেষ হবে দীর্ঘ ভোগান্তির
    বর্তমান | ১৪ মে ২০২৫
  • সংবাদদাতা, লালবাগ: অবশেষে দীর্ঘ ভোগান্তির অবসান হতে চলেছে। সম্প্রতি মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে মুর্শিদাবাদ থানার খুনিয়াপুকুর পাকুড়তলা মোড় থেকে ইন্দ্রডাঙা মাঠপাড়া চর বটতলা পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার ঢালাই রাস্তার কাজ শুরু হয়েছে।পথশ্রী প্রকল্পেঢালাই রাস্তা নির্মাণে মোট ব্যয় বরাদ্দ হয়েছে ৯২ লক্ষ ৩৮ হাজার টাকা। ভরা বর্ষার আগেই রাস্তা নির্মাণের কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে বলে জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে। ঢালাই রাস্তা নির্মাণের কাজ শুরু হওয়ায় খুশির হাওয়া স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে। 

    মুর্শিদাবাদ থানার খুনিয়াপুকুর পাকুড়তলা মোড় থেকে ইন্দ্রডাঙা মাঠপাড়া চর বটতলা পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তা লালবাগ মহকুমার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ সড়ক। মুর্শিদাবাদ-জিয়াগঞ্জ ব্লকের ডাঙাপাড়া ও তেঁতুলিয়া এই দুই পঞ্চায়েতের রুইয়া, খামারপাড়া, তেঁতুলিয়া, গুধিয়া, খুনিয়াপুকুর, নতুন ও পুরাতন ইন্দ্রডাঙা সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের ২০-২৫ হাজার মানুষ নিত্যদিনের কাজ সহ বিভিন্ন প্রয়োজনে এই রাস্তা ব্যবহার করে থাকেন। অথচ এই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার প্রায় দেড়শো মিটার মোরাম এবং বাকিটা মাটির ছিল।স্বাভাবিকভাবে বর্ষার কয়েকমাস এক হাঁটু জলকাদায় চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ত। স্থানীয় বাসিন্দারা একপ্রকার গৃহবন্দি হয়ে পড়তেন।এরফলে একদিকে যেমন স্থানীয় বাসিন্দাদের রুজিরোজগারে টান পড়ত, ঠিক তেমনি ছেলেমেয়েদের পড়াশোনাও লাটে উঠত। পাশাপাশি ওই সময়ে মাঠ থেকে ফসল বাড়ি নিয়ে আসতে চরম হয়রানির শিকার হতে হতো কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত মানুষজনকে। কাজেই দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ ও হয়রানি থেকে রেহাই পেতে স্থানীয় বাসিন্দারা পিচ বা ঢালাই রাস্তা নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। 

    স্থানীয় বাসিন্দা আসগর শেখ, বেলাল শেখ বলেন, এই রাস্তা দিয়ে ডাঙাপাড়া ও তেঁতুলিয়া পঞ্চায়েতের বাসিন্দারা ইন্দ্রডাঙা হয়ে সহজেই দৌলতাবাদ পৌঁছতে পারেন। ঠিক একইভাবে দৌলতাবাদ সহ পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দারা ইন্দ্রডাঙা, গুধিয়া হয়ে সহজেই লালবাগে আসেন। কাঁচা রাস্তার কারণে বর্ষার কয়েকমাস যাতায়াত করা যেতনা। ঢালাই রাস্তা হলে দু’টি পঞ্চায়েতের একাধিক গ্রামের দীর্ঘদিনের যাতাযাত সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে। ইন্দ্রডাঙার বাসিন্দা হজরত আলি বলেন, রাস্তার জন্য বর্ষাকালটা একপ্রকার বাড়িতে বসেই কাটাতে হতো। রোজগার না থাকায় সংসার চালানোই দায় হয়ে পড়ত। খুনিয়াপুকুরের বাসিন্দা নবম শ্রেণির ছাত্র আসলাম শেখ জানায়, একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তা জলকাদায় ভরে যায়। স্কুলে যেতে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। সাইকেল ঘাড়ে নিয়ে যাতায়াত করতে হয়। স্থানীয় জেলা পরিষদ সদস্য মকরেম সরকার বলেন, এই রাস্তার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানিয়েছিলাম। এলাকাবাসীর দাবিকে মান্যতা দিয়ে পথশ্রী প্রকল্পে ঢালাই রাস্তার কাজ শুরু হয়েছে। 
  • Link to this news (বর্তমান)