• মাদক পাচারকারীকে সাহায্য, সাসপেন্ড এএসআই
    বর্তমান | ১৪ মে ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, মালদহ: মাদক পাচারে সাহায্য করার কাজে যুক্ত এএসআইকে সাসপেন্ড করল পুলিস। একই অভিযোগে অভিযুক্ত এনভিএফ কর্মীকে সাসপেন্ড করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এদিকে ধৃত এএসআই ও এনভিএফ কর্মী এবং দুই মাদক কারবারীকে মঙ্গলবারও নিজেদের হেফাজতে নিতে পারল না পুলিস। 

    মালদহ জেলা আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অসিতবরণ বসু বলেন, ধৃতদের হেফাজতে নেওয়ার জন্য এডিজে ফোর্থ কোর্টে পুলিস আবেদন করেছে। তবে মঙ্গলবার কোর্ট খোলা থাকলেও আমাদের একজন সহকর্মী প্রয়াত হওয়ায় কোনও আইনজীবী কোর্টে যাননি। 

    ধৃত এএসআই মহম্মদ সফিকুল সেখ, এনভিএফ কর্মী সফিকুল ইসলাম, মাদক কারবারী মহম্মদ মোস্তাফা ও আবদুল মান্নান ওরফে টিটুকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করবে পুলিস। এই ঘটনায় আরও কেউ যুক্ত আছে কিনা, সেটাও খতিয়ে দেখবেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। ধৃতদের সোমবার কোর্টে পেশ করা হয়। কিন্তু কোর্ট বন্ধ থাকায় তাঁদেরকে আপাতত জেলে পাঠানো হয়েছে। বুধবার চারজনকে আদালতে পেশ করা হতে পারে। 

    মালদহের পুলিস সুপার প্রদীপকুমার যাদব বলেন, ধৃত এএসআইকে ইতিমধ্যেই সাসপেন্ড করা হয়েছে। এনভিএফ কর্মীকেও সাসপেন্ড করা হবে। ধৃতদের সাতদিনের জন্য হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে। 

    পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত দুই মাদক পাচারকারী মালদহ জেলার কালিয়াচক থানার গোলাপগঞ্জের বাসিন্দা। অভিযুক্ত এএসআই ইংলিশবাজার থানার মিল্কি এবং অভিযুক্ত এনভিএফ কর্মী মানিকচকের বাসিন্দা। ধৃতদের বিরুদ্ধে ২১ (১)/২৮/২৯/২৭ (৪) এনডিপিএস আইনে মামলা রুজু করেছে ইংলিশবাজার থানা। কেস নম্বর ৯৭১/২৫।

    ধৃতদের কাছ থেকে চারটি আলাদা আলাদা প্লাস্টিকে একশো গ্রামের বেশি ব্রাউন সুগার উদ্ধার হয়েছে। এর মধ্যে দুটি প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ থেকে ১০২ গ্রাম এবং বাকিগুলি থেকে ১০০ গ্রাম ও ১০১ গ্রাম ব্রাউন সুগার উদ্ধার হয়েছে। এছাড়াও তাদের কাছ থেকে নগদ ২ লক্ষ ৮৮ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার হয়েছে বলে খবর পুলিস সূত্রে।  

    দুই মাদক কারবারীকে সাহায্য করার অভিযোগে সোমবার মানিকচক থানার এএসআইকে পুলিস গ্রেপ্তার করে। একই অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় এনভিএফ কর্মী মহম্মদ সফিকুলকে। মাদক কারবারে সাহায্যের কাজে লিপ্ত এএসআই মানিকচক থানার অন্তর্গত বালুটোলা ক্যাম্পের দায়ত্বে ছিলেন।  

    মালদহ জেলা পুলিসের এক কর্তা জানান, দু’জন মাদক কারবারিকে বমাল আটক করেন অভিযুক্ত এএসআই। তাদের ছেড়ে দিতে মোটা টাকা দাবি করেন তিনি। বিনিময়ে তাঁদেরকে ছেড়ে দেওয়া হবে বলা হয়। এই রফায় ধৃত এনভিএফ কর্মীও যুক্ত ছিলেন। কিন্তু কোনওভাবে সেই খবর চলে যায় ইংলিশবাজার থানার মিল্কি ফাঁড়ির কাছে। তাঁরা ব্রাউন সুগার ও নগদ প্রায় তিন লক্ষ টাকা উদ্ধার এবং চারজনকে গ্রেপ্তার করেন।  ফাইল চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)