• ল্যান্সডাউন মার্কেট পরিদর্শনে কলকাতা পুরসভা, সংস্কার নিয়ে জটিলতা কাটাতে উদ্যোগ
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৪ মে ২০২৫
  • কলকাতা শহরের একের পর এক বাজার সংস্কার করে ক্রেতা–বিক্রেতাদের জীবন নিশ্চিত করেছে কলকাতা পুরসভা। একদিকে বিক্রেতাদের আয় বেড়েছে অপরদিকে ক্রেতাদের জন্য পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে। যার জেরে আকর্ষণ বেড়েছে। আগে বাজারগুলির অবস্থা ছিল ভগ্নপ্রায়। এবার শুরু হয়েছে জরাজীর্ণ ল্যান্সডাউন বাজারের সংস্কার। কিন্তু কিছু দোকানদারের আপত্তির জন্য সেই কাজ থমকে যাচ্ছে বলে অভিযোগ বাজার সমিতির। এই সংস্কার করা নিয়ে জটিলতা কাটাতে কলকাতা পুরসভায় বৈঠক হয়। কিন্তু ওই কয়েকজন ব্যবসায়ীর অনড় মনোভাবে জটিলতা কাটেনি বলে সূত্রের খবর। আজ, বুধবার আবার ল্যান্সডাউন বাজার পরিদর্শনে যাচ্ছেন তিন মেয়র পারিষদ।

    কারা যাচ্ছেন ল্যান্সডাউন বাজার পরিদর্শনে?‌ কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, তিন মেয়র পারিষদ সন্দীপরঞ্জন বক্সি, আমিরুদ্দিন ববি এবং বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায় ল্যান্সডাউন বাজার পরিদর্শনে যাচ্ছেন। সেখানে গিয়ে বাজারের বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলবেন। আপত্তি জানানো ওই ব্যবসায়ীদের সঙ্গেও কথা বলবেন। যাতে একটা রফাসূত্র বেরিয়ে আসে। যে কয়েকজন ব্যবসায়ী আপত্তি তুলেছে সংস্কারে তাঁদের কিছু দাবি মেনে নেয় কলকাতা পুরসভা। কিন্তু সবটা নয়। তাই বাধা দেওয়া হচ্ছে। এই বিষয়ে বাজার সমিতির সম্পাদক নিতাই দাস বলেন, ‘মামলার জেরেই বাজার সংস্কারের কাজ থমকে আছে। উন্নয়নে বাধা দেওয়ায় বাকিদের দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। ক্ষতিপূরণ, দোকানের বিকল্প জায়গা সবই করা হয়েছে।’‌


    মেয়র পারিষদরা কী বলছেন?‌ ল্যান্সডাউন বাজার সংস্কার করা না গেলে বড় বিপদ ঘটতে পারে। কারণ বাজারটি ভগ্নপ্রায় হওয়ায় ভেঙে পড়তে পারে। তাতে মানুষের জীবন পর্যন্ত যেতে পারে। আর আগুন লাগলে তো কথাই নেই। এই পরিস্থিতিতে মেয়র পারিষদ তথা বিধায়ক দেবাশিস কুমার বলেছেন, ‘‌কিছু জটিলতা আছে। আপত্তি যাঁরা জানিয়েছেন তাঁদের মধ্যে চারজনের সঙ্গে কথা হয়েছে। বাকিদের সঙ্গেও আলোচনা করে সমাধান করা হবে।’‌ আর সন্দীপরঞ্জন বক্সির বক্তব্য, ‘দীর্ঘদিন ধরে কাজ আটকে রাখা হয়েছে। ওঁদের অনেকগুলি দাবি আমরা মেনে নিয়েছি। মামলা তুলে নিতে বলা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, এই বাজারের সংস্কারের কাজ আর ফেলে রাখা যাবে না। দ্রুত এই কাজ হবে।’‌

    আর কী জানা যাচ্ছে?‌ যাঁরা বাধা দিচ্ছেন বা আপত্তি করছেন তাঁরা মনে করছেন, তাঁদের তুলে দেওয়া হবে। অন্যত্র জায়গা দিলে ব্যবসা মার খাবে। যদিও এসব ভাবনা অমূলক বলে জানিয়ে দিয়েছে কলকাতা পুরসভা। এই ল্যান্সডাউন মার্কেট সংস্কার করে বড় শপিং মল গড়ে তোলা হবে। নীচে গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থার পাশাপাশি প্রথম দুটি তলায় বাজারকে জায়গা দেওয়া হবে। যাঁদের দোকান ছিল তাঁরা সেখানে জায়গা পাবেন। আর ক্রেতারা এই দুটি তলাতেই শাক–সবজি, মাছ–মাংস সবই পাবেন।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)