অয়ন ঘোষাল: নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে গতকাল ঢুকে পড়ল দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু। নির্ধারিত সময়ের ৫ দিন আগেই দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ু প্রবেশ করল নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ। আজ ১৪ মে নিকোবরের পাশাপাশি দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর, দক্ষিণ আন্দামান সাগর এবং উত্তর আন্দামান সাগরের কিছু অংশে ঢুকে পড়ল দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ু। পরিস্থিতি অনুকূল। আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে মৌসুমী বায়ু মধ্য বঙ্গোপসাগর, আন্দামান দ্বীপপুঞ্জে ঢুকে পড়বে মৌসুমি বায়ু।
দক্ষিণবঙ্গ
কাল ১৫ মে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত গরম ও অস্বস্তিকর আবহাওয়া। বিক্ষিপ্তভাবে তাপপ্রবাহ দক্ষিণবঙ্গে। কাল বিকেলের পর থেকে ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়বে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তাপপ্রবাহ পশ্চিম বর্ধমান পশ্চিম মেদিনীপুর এবং বীরভূম জেলাতে। কলকাতা শহর দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই গরম ও চূড়ান্ত অস্বস্তিকর আবহাওয়া। বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড় বৃষ্টির আশঙ্কা দক্ষিণ ২৪ পরগনা উত্তর ২৪ পরগনা নদীয়া মুর্শিদাবাদ বীরভূম পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর ঝাড়গ্রাম পুরুলিয়া বাঁকুড়াতে।
বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার বিকেলে কালবৈশাখীর সতর্কতা বীরভূম মুর্শিদাবাদ নদীয়া পূর্ব বর্ধমান পশ্চিম বর্ধমান ঝাড়গ্রাম পশ্চিম মেদিনীপুর পুরুলিয়া বাঁকুড়া। বজ্রপাত শিলাবৃষ্টির সঙ্গে ৬০ থেকে ৭০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝোড়ো বাতাস বইতে পারে।
উত্তরবঙ্গ
উত্তরবঙ্গে মালদা ও সংলগ্ন এলাকায় চরম গরম ও অস্বস্তিকর আবহাওয়া থাকলেও তাপ প্রবাহের আর সম্ভাবনা নেই। অতিভারী বৃষ্টির সতর্কতা কোচবিহার আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়ি জেলাতে। ২০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টির আশঙ্কা। দার্জিলিং কালিম্পং জেলাতেও ভারী বৃষ্টির সতর্কতা। শনিবার পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা। দার্জিলিং কালিম্পং আলিপুরদুয়ার কোচবিহার জলপাইগুড়ি জেলাতে ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি। মালদা উত্তর দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাতে বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা মাঝারি বৃষ্টির সঙ্গে দমকা ঝড়।
কলকাতা
সারাদিন চূড়ান্ত ঘর্মাক্ত অস্বস্তিকর গরম। হাঁসফাঁস অবস্থা হবে আজ দুপুরের দিকে। বিকেলের দিকে আঞ্চলিক ভাবে কোনো কোনো এলাকায় সামান্য বৃষ্টি হতে পারে। কাল এবং পরশু আশানুরূপ বৃষ্টি পেতে পারে কলকাতা।
পরিসংখ্যান
রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় সামান্য কমে ২৮.৮ ডিগ্রি। কাল দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় সামান্য কমে ৩৫.২ ডিগ্রি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমান ভোরের দিকে ৪৮ শতাংশ। বেলা বাড়লে ৮৫ শতাংশ। বিকেলের দিকে ১০০ শতাংশ।