• জগন্নাথ মন্দিরে ‘অনিয়ম’, মামলা
    আনন্দবাজার | ১৪ মে ২০২৫
  • দিঘায় নবনির্মিত জগন্নাথ মন্দিরের পরিচালন ব্যবস্থা নিয়েই এ বার কার্যত প্রশ্ন উঠে এল কলকাতা হাই কোর্টে। জগন্নাথ মন্দির উপলক্ষে ১০০ জন সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলে জনস্বার্থ মামলা করেছেন বিজেপির আইনজীবী-নেতা কৌস্তভ বাগচী। আদালতের খবর, সেই মামলার আর্জিপত্রে ওই নিয়োগের পাশাপাশি জগন্নাথ মন্দিরের পরিচালন সরকারি সংস্থার দফতরে এবং বেসরকারি সংস্থা কেন ত্রাণ নেবে, সেই প্রশ্নও তোলা হয়েছে। এ বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি স্মিতা দাস দে-র ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন কৌস্তভেরআইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য। ডিভিশন বেঞ্চ মামলা দায়ের করারঅনুমতি দিয়েছে।

    মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে যে দিঘা জগন্নাথ ধাম মন্দির তৈরির টেন্ডার ঘোষণা করেছিল হিডকো। সেই মন্দিরের উদ্বোধনের পর একটি বেসরকারি ট্রাস্ট সেখানে অনুদান সংগ্রহ করছে এবং তাতে আয়কর ছাড় দিচ্ছে। হিডকো অফিস থেকেই ওই ট্রাস্ট চলছে। এই আর্থিক লেনদেনর বৈধতা নিয়ে কার্যত প্রশ্ন তুলে সরকারি টাকা নয়ছয়ের অভিযোগে কেন নিরপেক্ষ সংস্থাকে দিয়ে অনুসন্ধান হবে না, সেই কথাও মামলায় বলা হয়েছে।

    দিঘার মন্দিরের উদ্বোধনের আগে ১০০ জন সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগের ঘোষণা করে রাজ্য। এই নিয়োগের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে মামলায়। বলা হয়েছে, সিভিক ভলান্টিয়ারদের স্বাধীন ভাবে কাজ করার অধিকার নেই। তা হলে কী ভাবে ওই ১০০ জনকে দিঘার মন্দিরে নিয়োগ করা হল? কেন ওই পদে শুধু স্থানীয় যুবকদের বেছে নেওয়া হল, সেই প্রশ্ন তোলা হয়েছে। অভিযোগ, ক্ষুদ্র রাজনৈতিক স্বার্থেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে।

    এই মামলায় বলা হয়েছে, রাজ্য কী ভাবে বেসরকারি ট্রাস্ট পরিচালিত মন্দিরে সরকারি কর্মীদের মোতায়েন করতে পারে এবং নিজের কোষাগার থেকে খরচ করতে পারে? বলা হয়েছে, কোনও বেসরকারি সংস্থা নিরাপত্তা চেয়ে অনুরোধ করলে নির্দিষ্ট নিয়মকানুন মেনে তবেই সরকারি রক্ষী বাহিনী মোতায়েন করা যেতে পারে। এই অনিয়মের জেরে ওই সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ বাতিল করতেও মামলায় আর্জি জানানো হয়েছে।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)