ভারতের প্রবল চাপের মুখে বিএসএফ জওয়ান পূর্ণমকুমার সাউকে ছাড়তে বাধ্য হলো পাকিস্তান। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় আত্তারি-ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হয় তাঁকে। খবর পেয়েই সকালে পূর্ণমের স্ত্রীকে ফোন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পূর্ণমের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রজনীকে শুভেচ্ছা জানান তিনি। বলেন, ‘আপনারা এখন শুধু হাসিখুশি থাকুন।’
ফিরোজ়পুর সেক্টর থেকে ২৩ এপ্রিল পাক রেঞ্জারদের হাতে আটক হন বিএসএফ জওয়ান পূর্ণমকুমার সাউ। বুধবার সকালে ফ্ল্যাগ মিটিংয়ের পর তাঁকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হয়। অপারেশন সিঁদুরের পর নিঃসন্দেহে বড় কূটনৈতিক জয় ভারতের। হুগলিতে এক অনুষ্ঠানে এসে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সতীশ দুবে মঙ্গলবারই জানিয়েছিলেন, অভিনন্দন বর্তমানের মতোই বীর বিক্রমে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে পূর্ণমকে।
কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর আশ্বাসের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এল সুখবর। বীরের মতোই দেশে ফিরিয়ে আনা হলো পূর্ণমকে। রজনী বলেন, ‘মোদীজী হ্যায় তো সবকুছ মুমকিন হ্যায়। এটা আমাদের মানতেই হবে। একই সঙ্গে আমাদের যিনি মুখ্যমন্ত্রী, তিনিও খুবই সাপোর্ট করেছেন। তিন দিন ধরে টানা আমাকে উনি ফোন করে গিয়েছেন। বার বার বলেছেন, চিন্তা করতে না, সব রকম চেষ্টা করা হচ্ছে। দিদি তিন দিন ফোন করেছেন, চতুর্থ দিনই আমার স্বামী ফিরে এলেন। দিদির এই সাপোর্টও কখনও ভুলব না।’
একই সঙ্গে রজনী গোটা দেশের মানুষকে ধন্যবাদ জানান। সকলে এই ক’দিন যে ভাবে তাঁকে মানসিক সাহস, শক্তি জুগিয়েছেন, তার জন্য তিনি কৃতজ্ঞ। ছেলের ফেরার খবরে দারুণ খুশি দেবন্তীদেবী, বাবা ভোলানাথ সাউ, দাদা শ্যামসুন্দর সাউ। রিষড়ার বাড়িতে আজ খুশির হাওয়া। দিল্লিতে ফেরার পর রিষড়ার বাড়িতে কবে ফিরবেন, তা এখনও ঠিক হয়নি। তবে বাড়িতে হইহই শুরু। ছেলে ফিরলে পছন্দের দই-মিষ্টি দিয়েই ছেলের মুখমিষ্টি করাবেন বলে জানান, দেবন্তীদেবী-রজনী।