এই সময়, হাওড়া: শিশুকন্যার সামনেই মাকে খুনের ঘটনা। খুনের অভিযোগ শিশুর বাবা ও দাদার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার জগাছা থানার অন্তর্গত ইছাপুর এলাকায়। ওই আট বছরের শিশুকন্যার চাঞ্চল্যকর বক্তব্য পুলিশের কাছে এসেছে। শিশুকন্যাটি পুলিশকে জানিয়েছে, তার বাবা তার মায়ের হাত চেপে ধরেছিল। দাদা শ্বাসরোধ করে মাকে খুন করে।
স্থানীয়রা জানান, পেশায় ব্যবসায়ী বাবার নাম জিতেন্দ্র জয়সওয়াল। তার সঙ্গে বউ সুলেখা জয়সওয়াল ও ছেলে শেখর জয়সওয়ালের দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলছিল। রাতে সুলেখার শিশুকন্যার চিৎকারে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে আসেন। খবর দেওয়া হয় জগাছা থানায়। পুলিশ এসে অভিযুক্ত দু’জনকে আটক করে নিয়ে যায়। শিশুকন্যাকে দাদুর কাছে নিরাপদ আশ্রয়ে রাখা হয়। সুলেখার বাপের বাড়ির লোকজনকে খবর দেওয়া হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের মামলা শুরু করেছে পুলিশ।
অভিযুক্তদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। জবানবন্দি নেওয়া হবে শিশুকন্যার। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, পারিবারিক বিবাদের জেরে এই খুন।তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, সুলেখা যেখানে চাকরি করতেন, সেই কোম্পানির ম্যানেজারের সঙ্গে প্রেমেরর সম্পর্ক ছিল তাঁর, এমনটাই দাবি মৃতার স্বামীর।
স্বামী জিতেন্দ্র জয়সওয়ালের দাবি, দু’জনে হোটেলে যেতেন। স্কুটি চেপে ঘুরে বেড়াতেন। যে কারণে সংসারে অশান্তি লেগে থাকত। ইতিমধ্যে খুনের অভিযোগে জিতেন্দ্র ও তার ছেলে শেখরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। খুনের ঘটনা দু’জনেই প্রথমে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু জিতেন্দ্র জয়সওয়ালের শিশুকন্যা মাকে খুনের ঘটনা দেখে ফেলে। পুলিশকে সে জানায়, বাবা তার মায়ের হাত চেপে ধরেছিল এবং দাদা গলা চেপে ধরে। এতে শ্বাসরোধ হয়ে মারা যায় তার মা। অভিযুক্ত দু’জনকে গ্রেপ্তার করে খুনের মামলা শুরু করেছে জগাছা থানার পুলিশ।