• রাস্তার কুকুরকে মারধরের প্রতিবাদে ‘মৃত্যু’, বাঁকুড়ার ঘটনায় আটক ২
    এই সময় | ১৪ মে ২০২৫
  • রাস্তার কুকুরকে মারধর করায় প্রতিবাদ করেছিল দুই ভাই। তার জেরে দুই ভাইকেই বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল। ঘটনায় এক ভাই সুদিন পাল (৫০)-এর মৃত্যু ঘটে। বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ড কৃষ্ণগঞ্জ গড়গড়ান পাড়ায় মঙ্গলবার ওই ঘটনা ঘটে। মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত দুই যুবককে বুধবার আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশের।

    পরিবার সূত্রের খবর, সুদিন পাল ও অমিতাভ পাল দুই ভাই। তাঁরা পশুপ্রেমী। প্রতিদিন বাড়ির পাশে বেশ কয়েকটি রাস্তার কুকুরকে খাওয়ানোর পাশাপাশি তাদের যত্নও নিতেন দুই ভাই। মঙ্গলবার বাড়ির কাছেই তাঁরা সপরিবারে গাজন উৎসবে গিয়েছিলেন। গাজন থেকে বাড়ি ফেরার সময় অমিতাভ পাল দেখেন বাড়ির সামনে শৈলেন পাল ও টোটোন পাল নামে স্থানীয় দুই যুবক কুকুরদের বেধড়ক মারধর করছে। অভিযোগ সেই সময় দুই যুবক নেশাগ্রস্ত ছিলেন।

    পরিবারের অভিযোগ, ঘটনার প্রতিবাদ করতেই অভিযুক্তরা লাঠি নিয়ে অমিতাভ পালকে মারধর করতে শুরু করে। ভাইকে বাঁচাতে যান দাদা সুদিন পাল। ‌এক ফাঁকে অমিতাভ চলে যান বিষ্ণুপুর থানায় অভিযোগ জানাতে। সেই সুযোগেই সুদিনকে একা পেয়ে অভিযুক্ত দুই যুবক ইট দিয়ে সজোরে তাঁর মাথায় আঘাত করে। এর পর অচৈতন্য অবস্থায় রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন সুদিন পাল।

    সূত্রের খবর, থানা থেকে বাড়ি ফিরতেই অমিতাভ দেখেন বাড়ির সামনে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছেন তাঁর দাদা। তড়িঘড়ি তাঁকে বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এর পরে ঘটনাস্থলে আসে বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ। প্রতিবাদ করার জন্য না কি অন্য কোনও কারণে অভিযুক্তরা সুদিন পালকে মেরেছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

    অমিতাভ পাল বলেন, ‘পথ কুকুরদের রোজ খাওয়ানোর পাশাপাশি তাঁদের চিকিৎসার ব্যবস্থাও করি আমি ও দাদা। ওরা আমার দাদাকে এমনভাবে মারল যে চিকিৎসা করানোর সুযোগই পেলাম না।’ তাঁর স্ত্রী ঝুমু পাল বলেন, ‘প্রায় প্রতিদিন ওরা কুকুরদের মারত। আমি চাই ওদের যেন ফাঁসি হয়। ওরা আমাদের মাথার উপর থেকে ছাদ কেড়ে নিল।’

  • Link to this news (এই সময়)