কলকাতায় ছিল চাকরির ইন্টারভিউ, ন’দিন পর উত্তরাখণ্ডের বনে মিলল দুর্গাপুরের যুবকের ঝুলন্ত দেহ
প্রতিদিন | ১৪ মে ২০২৫
সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: কলকাতায় চাকরির ইন্টারভিউ আছে বলে দুর্গাপুরের বাড়ি থেকে ৯ দিন আগে বেরিয়েছিলেন যুবক। গত প্রায় দু’দিন তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। উত্তরাখণ্ডের বদ্রিনাথের পাইনবন থেকে উদ্ধার হল তাঁর ঝুলন্ত মৃতদেহ। দেহ উদ্ধারের পর ওই এলাকার পুলিশ পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে। মৃত ওই যুবকের নাম প্রীতম মজুমদার(২৭)। বাড়ি দুর্গাপুরের বি-জোনের এডিশন এলাকায়। ঘটনা জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। মৃতদেহ নিয়ে আসার জন্য বদ্রীনাথের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে পরিবারের সদস্যরা।
ওই পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রীতমের বাবা ও মায়ের ২০০৮ সালে বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছিল। বাবা বায়ুসেনার প্রাক্তন কর্মী। বিবাহবিচ্ছেদের পর তিনি ফের বিয়ে করে গুজরাটে থাকেন। প্রীতমের মা পূর্ণিমা মজুমদার এনআইটির হস্টেলের সুপার ভাইজার ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি অসুস্থ। বাবা-মায়ের বিচ্ছেদের পর দুর্গাপুরের এডিশন এলাকায় দাদুর বাড়িতেই ভাই-বোন-মাকে নিয়ে থাকতেন প্রীতম।
স্থানীয় কলেজ থেকে অর্থনীতি নিয়ে পড়াশোনা করেছিলেন প্রীতম। বিভিন্ন সময়ে একাধিক জায়গায় চাকরি করলেও কোনওটাই স্থায়ী হয়নি। চলতি মাসের শুরুতে পরিবারের সদস্যদের কাছে প্রীতম জানান, চাকরির ইন্টারভিউয়ের জন্য কলকাতা থেকে ডাক এসেছে। সেজন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে গত ৪ তারিখ দুর্গাপুর থেকে রওনা দেন তিনি। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিবারের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগও ছিল। গত ১১ তারিখ শেষবার প্রীতম মামার সঙ্গে শেষবার কথা বলেছিলেন। তারপর থেকে আর তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। গতকাল মঙ্গলবার উত্তরাখণ্ডের জোশিপঠ থানার পুলিশ প্রীতমের মামার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে। জানানো হয়, ওই এলাকার পাইন বনের একটি গাছ থেকে তাঁর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। ঘটনাস্থলেই তাঁর কাগজপত্র পাওয়া গিয়েছে।
এই কথা শুনে হতবাক পরিবার। উত্তরাখণ্ড কীভাবে গেলেন প্রীতম? তাহলে কি কলকাতায় চাকরির ইন্টারভিউ যাননি তিনি? গোটা বিষয়টিতেই রহস্য বাড়ছে।