পথকুকুরকে মারার প্রতিবাদ, বিষ্ণুপুরে প্রতিবেশী দুই ভাইয়ের হাতে ‘খুন’ প্রৌঢ়
প্রতিদিন | ১৪ মে ২০২৫
অসিত রজক, বিষ্ণুপুর: পথকুকুরকে মারার প্রতিবাদ করায় পিটিয়ে ‘খুন’ হলেন বিষ্ণুপুরের এক তাঁতশিল্পী। মৃতের নাম সুধীন পাল। পুলিশ অভিযুক্ত প্রতিবেশী দুই ভাই শৈলেন পাল ও তোতন পালকে আটক করেছে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাতে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর শহরের কৃষ্ণগঞ্জ এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিষ্ণুপুর শহরের কৃষ্ণগঞ্জের বাসিন্দা প্রৌঢ় সুধীনবাবু এবং তাঁর ভাই অমিতাভ পাল পথ কুকুরদেরকে নিয়মিত খাবার দিতেন। সেজন্য তাঁদের বাড়ির সামনে কুকুরগুলি ছড়িয়েছিটিয়ে থাকে। এই নিয়ে প্রতিবেশী শৈলেন পাল ও তোতন পালের সঙ্গে বিবাদও হত। ওই দুই ভাই কিছুতেই কুকুরকে খাওয়ানো পছন্দ করে না বলে অভিযোগ। তাই নিয়ে মাঝেমধ্যেই বচসাও হত দুই পরিবারের মধ্যে। মঙ্গলবার রাতে অমিতাভবাবু দেখেন, দুই ভাই শৈলেন ও তোতন কুকুরদের ইট ছুঁড়ে মারছে। অমিতাভবাবু তার প্রতিবাদ করতেই প্রথমে তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। বাঁচাতে গিয়ে অমিতাভের স্ত্রীও আক্রান্ত হয় বলে দাবি পরিবারের। প্রতিবেশীরা সেসময় বিবাদ থামিয়ে দিয়েছিলেন। ঘটনার বিহিতের জন্য অমিতাভবাবু ও পরিবারের সদস্যরা বিষ্ণুপুর থানায় গিয়েছিলেন।
এদিকে অমিতাভের দাদা সুধীনবাবু ঘটনার সময় বাড়িতে ছিলেন না। বাড়ি ফিরে ভাইকে মারার ঘটনা শুনেই সুধীনবাবু একাই রাস্তায় নেমে ঘটনার প্রতিবাদ জানান। অভিযুক্ত তোতন ও শৈলেন আবার বেরিয়ে আসে। এবার সুধীনবাবুর সঙ্গে বচসা ও হাতাহাতি হয় দুজনের। সেসময় দুই ভাই সুধীনকে একা পেয়ে রাস্তার পাশে থাকা ইট দিয়ে বুকে সজোরে আঘাত করে বলে অভিযোগ। তিনি রাস্তাতেই লুটিয়ে পড়েন। সেই মুহূর্তে ওই পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা বাড়ি ফিরছিলেন। সুধীন পালকে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বিষ্ণুপুর থানায় ফের অভিযোগ দায়ের হয়। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ রাতেই অভিযুক্ত দুই ভাই শৈলেন ও তোতনকে আটক করে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। কুকুরকে মারধরের প্রেক্ষিতে এমন ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।