• দমদম স্টেশনে লাইনচ্যুত ট্রেন, বড়সড় দুর্ঘটনা থেকে বাঁচল বনগাঁ লোকাল
    প্রতিদিন | ১৪ মে ২০২৫
  • সুব্রত বিশ্বাস ও বিধান নস্কর: বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেল ডাউন বনগাঁ লোকাল। দমদম জংশন স্টেশনে ঢোকার আগে ওই ট্রেনের চাকা লাইনচ্যুত হয়। ঘটনায় চরম আতঙ্ক ছড়ায় যাত্রীদের মধ্যে। তবে ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর নেই বলে জানিয়েছে পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ। কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখছেন আধিকারিকরা। ঘটনায় ট্রেন চলাচলে তেমন কোনও সমস্যা হয়নি বলে রেলের তরফে জানানো হয়েছে। তবে বনগাঁ শাখায় ট্রেন চলাচলে সমস্যা দেখা দেয়। ডাউন লাইনে দমদম ঢোকার আগে বহু ট্রেন পরপর দাঁড়িয়ে যায়। বেলা ১টা ৪০ মিনিট নাগাদ পরিষেবা ফের স্বাভাবিক হয় বলে খবর। 

    রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ বুধবার বেলা ১২টা ১১ মিনিট নাগাদ ডাউন বনগাঁ লোকাল দমদম স্টেশনের চার নম্বর প্ল্যাটফর্মে ঢুকছিল। সেসময় ট্রেনটির পিছনের কামরাগুলিতে বেশ ঝাঁকুনি অনুভব হয়। বিকট আওয়াজ করে থেমে যায় ট্রেনটি। আতঙ্ক ছড়ায় যাত্রীদের মধ্যে। অনেকেই ট্রেন থেকে লাফিয়ে নামেন। দেখা যায়, ওই ট্রেনটির শেষ কামরার দুটি চাকা লাইন থেকে নেমে গিয়েছে। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়।

    মুহূর্তের মধ্যে রেলের আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান। ট্রেনটির লাইনচ্যুত চাকা তোলার জন্য কাজ শুরু হয়। ট্রেনের যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক কমানোর জন্য কথাও বলেন  আধিকারিকরা। যাত্রীরা আস্বস্ত হয়ে অন্য ডাউন ট্রেন ধরে গন্তব্যের জন্য রওনা হন। কিন্তু কীভাবে হল এই দুর্ঘটনা? রেলের তরফে জানানো হয়েছে, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। স্টেশনের ওই চার নম্বর প্ল্যাটফর্মে ট্রেন চলাচল সাময়িক বন্ধ রাখা হয়। তবে ঘটনায় সামগ্রিক  ট্রেন চলাচলে কোনও সমস্যা হয়নি। দমদম স্টেশনের ১,২,৩ ও ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্ম দিয়ে ট্রেন চলাচল করেছে। মেইন লাইন ও ডানকুনি শাখায় চলাচলে তেমন সমস্যা হয়নি। যদিও বনগাঁ শাখায় ট্রেন চলাচলে যথেষ্ট সমস্যা হয়। ডাউন লাইনে পরের ট্রেনগুলি একের পর এক স্টেশনে আটকে যায়। প্রবল গরমে ট্রেনের মধ্যে আটকে থেকে অতিষ্ট হয়ে পড়েন যাত্রীরা। প্রবল দুর্ভোগে পড়েন গন্তব্যে যাওয়া সাধারণ যাত্রীরা। 

    সাধারণত দমদম স্টেশনে বনগাঁ শাখার ট্রেন ঢোকার সময় লোকাল ট্রেনের গতি কম থাকে। এক্ষেত্রে ট্রেনের গতি কতটা ছিল? লাইন বদলের সময় কি কোনও সমস্যা হয়েছিল? সে সব বিষয় খতিয়ে দেখা হছে। ট্রেনের চালক ও গার্ডের সঙ্গেও কথা বলা হচ্ছে। ট্রেনটির গতি বেশি থাকলে আরও বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত বলে আশঙ্কা যাত্রীদের।
  • Link to this news (প্রতিদিন)