হাওড়া স্টেশনের উপর দূরপাল্লা ট্রেনের চাপ এড়াতে বিকল্প হিসেবে অনেক সময়েই ব্যবহার করা হয় শালিমার স্টেশন। সেই কাজে যে আরও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে, বুধবার তা স্পষ্ট করল দক্ষিণ পূর্ব রেল। এ দিন, দক্ষিণ পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার অনিল কুমার মিশ্র বন্দে ভারত এক্সপ্রেস কোচিং কমপ্লেক্সের পাইলিং কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে এসে এই কথা বলেন।
হাওড়া স্টেশনে যাত্রীদের চাপ কমাতে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের শালিমার স্টেশনকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। একদিকে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস কোচিং কমপ্লেক্স তৈরি হচ্ছে, অন্যদিকে অন্য দূরপাল্লার ট্রেনের রক্ষণাবেক্ষণের কাজের জন্য ডিপো তৈরির কাজও চলছে। বুধবার বন্দে ভারত ট্রেনের কোচিং কমপ্লেক্স তৈরির জন্য পাইলিংয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন অনিল কুমার মিশ্র। এ দিন তিনি বলেন, শুধু বন্দে ভারত নয়, অমৃত ভারত প্রকল্পের অধীনে অন্য দূরপাল্লার ট্রেনগুলির রক্ষণাবেক্ষণের কাজ যাতে এই ডিপোতে করা যায় তা দেখা হবে। এর ফলে হাওড়া স্টেশনের পরিবর্তে শালিমার স্টেশন থেকে দূরপাল্লার ট্রেন ছাড়তে সুবিধা হবে।
এই কাজের জন্য লোকাল ট্রেনের চলাচলের সুবিধার দিকটিও দেখা হচ্ছে। দক্ষিণ পূর্ব রেলের আধিকারিকেরা জানাচ্ছেন, হাওড়া স্টেশনে দূরপাল্লার ট্রেনের চাপ কমলে দক্ষিণ পূর্ব রেলের লোকাল ট্রেন চালাতে সুবিধা হবে। এখন দূরপাল্লার ট্রেনগুলিকে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সাঁতরাগাছি রেল ইয়ার্ডে নিয়ে যেতে হয়। শালিমার স্টেশনে মেইনটেনেন্স ডিপো তৈরির কাজ শেষ হলে ওখান থেকেই ট্রেন ছাড়তে সুবিধা হবে।
এই স্টেশনকে ঘিরে পরিকাঠামোগত উন্নয়নের কাজও চলছে। ওভারব্রিজ এবং আন্ডারপাস তৈরি হচ্ছে। তার সঙ্গেই ফেরিঘাট এবং রাস্তা তৈরির কাজও পুরোদমে চলছে। দক্ষিণ পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার জানাচ্ছেন, এই কাজের জন্য ২০৩ কোটি টাকা খরচ হবে। আগামী একবছরের মধ্যেই কাজ শেষ করা হবে।