• ‘বাবার পিঠে উঠে ঘোড়া ঘোড়া খেলব’, হাসিমুখে আইসক্রিম খেতে খেতে বলল পূর্ণমের ছেলে আরভ
    এই সময় | ১৪ মে ২০২৫
  • আর বাবার জন্য মন কেমন করছে না আরভের। সে এখন হাসি হাসি মুখে আইসক্রিম খাচ্ছে। পাকিস্তান থেকে সদ্য ছাড়া পাওয়া বিএসএফ জওয়ান পূর্ণমকুমার সাউয়ের আট বছরের ছেলে আরভ।

    বুধবার সকালেই সুখবর এসেছে। ২৩ দিন পর পাকিস্তানি রেঞ্জার্সের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছেন পূর্ণম। রিষড়ার সাউ পরিবারে খুশির হাওয়া। বাবা ফিরলে গরমের ছুটিতে কী কী মজা করা যায়, তা ঠিক করতেই এখন ব্যস্ত আরভ।

    পরিবার সূত্রে খবর, সকালে পাকিস্তানের হাত থেকে ছাড়া পাওয়ার পরই পূর্ণম ফোন করেছিলেন বাড়িতে। স্ত্রী রজনীর সঙ্গে কথাও বলেন। তখন এক দফা কথা হয় ছেলে আরভের সঙ্গেও। আইসক্রিম খেতে খেতে সেই কথাই জানাল সে। তবে এই ক’দিন বাবার না-থাকা যেন তাকে একধাক্কায় অনেকটাই বড় করে দিয়েছে। আরভ বলে, ‘হ্যাঁ, বাবার সঙ্গে তো কথা হয়েছে। পাকিস্তানে বাবাকে আটকে রেখে দিয়েছিল। খুব মনে পড়ত বাবাকে। বাবা বলেছে, এখন ইউনিটে ফিরছে। আর কোনও ভয় নেই। বাবা বলেছে, বেটা কোনও টেনশন নিবি না। পড়াশোনায় মন দে।’

    ফিরোজ়াবাদে পোস্টেড ছিলেন পূর্ণম কুমার সাউ। গত ২৩ এপ্রিল পহেলগাম জঙ্গি হানার ঠিক পরের দিন সীমান্তে টহল দেওয়ার রুটিন ডিউটির মাঝেই ভুল করে পেরিয়ে যান নিয়ন্ত্রণ রেখা। তখনই তাঁকে বন্দি করে পাক রেঞ্জার্সের জওয়ানরা। ফ্ল্যাগ মিটিং চলছিল, কিন্তু মুক্তি মেলেনি। তারপর শুরু হয় অপারেশন সিঁদুর। মুক্তির আশা বিশ বাঁও জলে। সাউ বাড়িতে কান্নার রোল উঠেছিল।

    সেই দিনগুলোতে আরভের সম্বল ছিল বাবার ছবি। হ্যাঁ, মা রজনীর কাছ থেকে বাবার ছবি, ভিডিয়ো নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলত ক্লাস থ্রি-র পড়ুয়া। আরভ নিজেই জানাল, ‘বাবার ছবির সঙ্গে কথা বলতাম। জিজ্ঞেস করতাম কবে আসবে।’ এখন পূর্ণমের রিষড়ার বাড়িতে ফেরা সময়ের অপেক্ষা মাত্র। আরভ বলছে, ‘বাবার কোলে শোব। বাবার পিঠে উঠে ঘোড়া ঘোড়া খেলব।’ ছেলেকে নিয়ে মাঝেমধ্যেই ঘুরতে যেতেন পূর্ণম। আরভেক কথায়, ‘আবার যাব আমরা। বাবা বলেছে, অনেক গিফটও দেবে আমায়।’

  • Link to this news (এই সময়)