একের পর এক দেশ বিরোধী পোস্ট। যাকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় উত্তেজনা বারাসতে। সকালে চাঁপাডালি মোড়ের মাংসের দোকানে থেকে টালি খোলা এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। টালিখোলায় গভীর রাত পর্যন্ত চলে অবরোধ, বিক্ষোভ, পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট বৃষ্টি। বারাসাত থানার পুলিশের উপর হামলা-সহ এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি ও সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করার অভিযোগেও সব মিলিয়ে প্রায় কুড়ি জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। তিন জনকে সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ আদালতের। দেশবিরোধী মন্তব্যের কারণে ধৃতদের হয়ে সওয়াল করলেন না কোনও আইনজীবী।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও ভারতীয় সেনাকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে কুরুচিকর পোস্ট করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বারাসাতের টালিখোলা এলাকার দুই বাসিন্দা ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়াতে দেওয়া এই পোস্টকে ঘিরেই মঙ্গলবার রাতে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় ওই এলাকায়। এর জেরে অবরোধ করা হয় বারাসত-ব্যারাকপুর রোড।
তবে, মঙ্গলবার রাতে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করেও অশান্তি থামাতে নাজেহাল হতে হয় পুলিশকে। বারাসত এসডিপিও বিদ্যাগর অজিঙ্কা আনান্ত জানান, এই ঘটনায় একাধিক হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যে এই কুরুচিকর পোস্ট সমাজমাধ্যমে করেছে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
একই ভাবে যারা এইদিন ভাঙচুর, পুলিশের উপর ইটবৃষ্টি, আক্রমণ করেছে, এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধেও করা ব্যবস্থা নেবে পুলিশ। এলাকা থেকে একাধিক মোটর বাইক ও সাইকেল বাজেয়াপ্ত করেছে বারাসত থানার পুলিশ। ক্ষুব্ধ জনতার আক্রমণে তাপস কর্মকার নামে এক পুলিশ কর্মী আহত হন। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় বারাসত হাসপাতালে। অল্পের জন্য বেঁচে যায় পুলিশ কর্মীর বাঁ চোখ।
ধৃতদের বুধবার বারাসাত আদালতে তোলা হয়। গোটা ঘটনায় মোট ২০ জনকে গ্রেপ্তার করা হলেও এদের মধ্যে দেশবিরোধী পোস্টের অভিযোগে তিন জনকে সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। অন্যদিকে, বিক্ষোভকারী ১৭ জনকে জামিনে মুক্তি দেয় বারাসাত আদালতের বিচারক। দেশ বিরোধী কথা বলায় অভিযুক্ত তিনজনের হয়ে কোন আইনজীবী আদালতে শওয়াল করেননি বলেও জানা গিয়েছে।