• ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী গ্রামে বসে চলছিল জাল আধার কার্ড তৈরির চক্র, গ্রেপ্তার ৩...
    আজকাল | ১৫ মে ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মুর্শিদাবাদের রাণীনগর থানা এলাকার কাতলামারী-কদমতলা এলাকার একটি বাড়িতে বসে গোপনে দীর্ঘদিন ধরে চলছিল জাল আধার কার্ড তৈরির চক্র। মঙ্গলবার রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রানীনগর থানার পুলিশ এই চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। ধৃতদের থেকে উদ্ধার হয়েছে একাধিক জাল আধার কার্ড এবং আধার কার্ড তৈরির জন্য ব্যবহৃত বিভিন্ন মেশিন। 

    এসডিপিও (ডোমকল) শুভম বাজাজ বলেন,' আধার কার্ড তৈরির সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে রানীনগর থানা এলাকার বিভিন্ন গ্রামের তিন বাসিন্দা আবু সুফিয়ান, রফিকুল ইসলাম এবং মহম্মদ জামালউদ্দিন শেখ নামে তিন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতদের পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন করে আজ তাদের আদালতে পেশ করা হচ্ছে।'  তিনি ,জানান 'ধৃত ব্যক্তিরা কীভাবে জাল আধার কার্ড তৈরির চক্র চালাত পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে।'

    এসডিপিও বলেন,'মঙ্গলবার রাণীনগর থানার আধিকারিকরা গোপন সূত্রে খবর পান কাতলামারী-কদমতলা এলাকায় একটি বাড়িতে জাল আধার কার্ড তৈরির কারবার চলছে। এই খবরের ভিত্তিতে আমরা ওই বাড়িতে  তল্লাশি চালাই এবং সেখান থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে থানায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসা হয়।'

    তিনি বলেন ,'প্রাথমিক তদন্তে আমরা জানতে পেরেছি ধৃত ব্যক্তিরা বাড়িতে বসেই ল্যাপটপ, রেটিনা স্ক্যানার,  ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার-সহ বিভিন্ন বৈদ্যুতিন যন্ত্র ব্যবহার করে জাল আধার কার্ড তৈরি করত। ধৃতদের হেফাজত থেকে একটি ল্যাপটপ, দুটি প্রিন্টার, তিনটি মোবাইল ফোন, একটি ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার, একটি রেটিনা স্ক্যানার ছাড়াও জাল আধার কার্ড তৈরির বিভিন্ন ছোটখাটো যন্ত্র পাওয়া গিয়েছে। সঙ্গে উদ্ধার হয়েছে বেশ কয়েকটি জাল আধার কার্ড।'

     ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী গ্রামে বসে ওই যুবকেরা কাদের জন্য জাল আঁধার কার্ড তৈরি করত? প্রশ্নের উত্তরে এসডিপিও বলেন ,'এই ঘটনার তদন্তে নেমে আমরা একাধিক সূত্র পেয়েছি। ভিন দেশের কোনও নাগরিকের জন্য জাল আধার কার্ড তৈরী করা হয়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদি এমন কোনও তথ্য পাওয়া যায় তাহলে সেই আধার কার্ড বাতিল করার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ করা হবে।'

    পুলিশ সূত্রের খবর , অভিযুক্ত তিন ব্যক্তি আধার কার্ড তৈরির জন্য যাবতীয় নথি জাল করে তৈরী করে দিত।  এর পাশাপাশি তারা আঁধার কার্ড তৈরি এবং আপডেট করার জন্য সরকারি অনুমোদনপ্রাপ্ত বিভিন্ন এজেন্টের আইডি এবং পাসওয়ার্ড 'ক্লোন'  করে নিয়েছিল বলেও অভিযোগ উঠেছে।
  • Link to this news (আজকাল)