জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এসএসসির গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি-র কর্মীদের যে ভাতা দেবে রাজ্য সরকার, সেকথা আগেই ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই প্রস্তাবেই এবার শিলমোহর দিল রাজ্যমন্ত্রিসভা। মমতা জানালেন, 'পশ্চিমবঙ্গ শ্রম দফতরের অধীনে পশ্চিমবঙ্গ জীবিকা এবং সামাজিক নিরাপত্তা অন্তর্বর্তী প্রকল্পে গ্রুপ সি ও গ্রু ডি কর্মচারীদের পয়লা এপ্রিল থেকে মাসে, যতক্ষণ পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্ত না হচ্ছে, গ্রুপ সি ২৫ হাজার, গ্রুপ ডি ২০ হাজার করে অনুদান দেওয়া হবে'।
আজ, মঙ্গলবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক হল নবান্নে। বৈঠক শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি যাঁরা মাইনে পাচ্ছে না, সংসার চালাতে অসুবিধা হচ্ছে। কোর্টে যেহেতু মামলাটি বিচারাধীন আছে, আমরা পুর্নবিবেচনার আর্জি জানিয়েছি। আদালত যা আদেশ দেবেন, সেভাবে আমরা করব। ততদিন সংসার কীভাবে চলবে! আমরা একটা প্রকল্প তৈরি করেছি। গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি-দের জন্য বেতন অনিবার্য পরিস্থিতিতে আদালতের নির্দেশ বন্ধ হয়ে যাওয়ায়, তাঁদের সংসারগুলি সমস্যায় আছে'।
ঘটনাটি ঠিক কী? সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এসএসসিতে ২৬ হাজার চাকরি বাতিল! ফলে শিক্ষকরাই যে শুধু চাকরি হারিয়েছেন, তা কিন্তু নয়। রেহাই পাননি গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মীরাও। মধ্যশিক্ষ পর্ষদের আবেদনের ভিত্তিতে অবশ্য ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত যাঁরা প্রমাণিত দুর্নীতিগ্রস্ত নন, সেইসব শিক্ষকদের চাকরি করার অনুমতি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু গ্রুপ ডি ও গ্রুপ ডি পদে চাকরিহারাদের সম্পর্কে কিছু বলেনি শীর্ষ আদালত। ফলে তাঁরা যে আর বেতন পাবেন না, তা আদালতের রায়েই স্পষ্ট।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'ওরা এপ্রিল থেকে মাইনে পাচ্ছিল না। ওরা মাইনেটা পেয়ে যাবে'। তাঁর সাফ কথা, কেউ কেউ হয়তো বলবে দরকার ছিল না। এটা তাঁর তাঁর একান্ত স্বাধীনতা, মতামত। আমাদের কিছু বলার নেই'।
এদিকে সুপ্রিম কোর্টে পিছিয়ে গেল ডিএ মামলার শুনানি। বিচারপতি সঞ্জয় ক্যারল জানিয়েছেন, 'আদালতের কিছু সমস্যার জন্য আজ(মঙ্গলবার) শুনানি করা সম্ভব হচ্ছে না। আগামী শুক্রবার এই মামলার শুনানি হবে। সেদিন সব পক্ষকে এই মামলার শুনানিতে অংশগ্রহণ করতে হবে'। আজ, মঙ্গলবার দুপুর ২টোয় ডিএ মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল সুপ্রিম কোর্টে।