• ‘মায়ের বিয়ের পর কষ্টে ছিল’, ছেলের মৃৃত্যু অস্বাভাবিক, বলছেন সৃঞ্জয়ের বাবা
    প্রতিদিন | ১৫ মে ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আবাসন থেকে উদ্ধার হয়েছে দিলীপের স্ত্রী রিঙ্কুর ছেলে সৃঞ্জয় দাশগুপ্তের দেহ। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে মৃত্যুর সময় অগ্ন্যাশয়ে কোনও প্রদাহ হয়েছিল। সৃঞ্জয়ের হৃদযন্ত্র, লিভার এবং কিডনির আকার স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ছিল। সাধারণত, রক্তচাপের সমস্যা থাকলে এই লক্ষণগুলি দেখা যায়। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক তদন্তে যা ইঙ্গিত মিলছে, তাতে সৃঞ্জয়ের মৃত্যুতে অস্বাভাবিকত্ব নেই। কিন্তু তা মানতে নারাজ তাঁর বাবা রাজা দাশগুপ্ত। এক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। স্বাভাবিক মৃত্যু বলে আমার মনে হয় না।” পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, মায়ের (রিঙ্কুর) বিয়ের পর থেকে সৃঞ্জয় কষ্টে ছিল। তা বুঝতে দেয় নি।

    ছেলের মৃত্যুর পর সংবাদমাধ্যমে রিঙ্কু জানিয়েছিলেন, ছেলে তাঁর সঙ্গে থাকতে চাইত। তা নিয়ে দিলীপের সঙ্গে তাঁর কথাও হয়েছিল। আজ রিঙ্কুর প্রথম পক্ষের স্বামী রাজা দাশগুপ্ত বলেন, “আমার সঙ্গে ওঁর মায়ের ছাড়াছাড়ি হয়ে যাওয়ার পর ছেলে পুরোপুরি মায়ের উপর নির্ভরশীল ছিল। বিয়ের সময় আমাকে ফোন করে বলেছিল বাবা আর কিছু বছর পর আমিও বিয়ে করব। মা আবার একা হয়ে যাবে। একটা সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। মা ভালো থাকলে অবশ্যই ভালো। মুখে বিয়ে নিয়ে খুশির থাকা কথা বললেও ও কষ্টে ছিল।” সৃঞ্জয় ওরফে প্রীতমের বাবা আরও বলেন, “ওকে দেখে বাইরে থেকে বোঝা যেত না। খুব হাসিখুশি। কিন্তু ব্যথাটা বলবে না কাউকে। না হলে বিয়ের সময় বাইরে চলে যেত না। আমাকে বলছিল, আমি থাকব না, দিঘা চলে যাবে। বাকিটা বুঝে নিতে হবে।”

    উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সকালে নিউটাউনে সাপুরজির আবাসন থেকে সৃঞ্জয়কে অবচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। হাসপাতাল নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করে। তারপরই মৃত্যুর কারণ ঘিরে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। দিলীপ ঘোষ বুধবার সকালে বলেছেন, মাদকজনিত সমস্যা ছিল, কাউন্সেলিং চলছিল। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলেই মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
  • Link to this news (প্রতিদিন)