দাদাগিরি করে গ্রেপ্তার, উত্তেজনা, প্রাক্তন সেনাকর্মীকে কামড় সিভিকের, ধৃত
বর্তমান | ১৫ মে ২০২৫
সংবাদদাতা, গঙ্গারামপুর: বাড়ি ভাড়া চাওয়ায় প্রাক্তন সেনাকর্মীকে কামড়ে দেওয়ার অভিযোগ কুশমণ্ডি থানার এক সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত সিভিক মঞ্জুর আলমের বাড়ি কুশমণ্ডি থানা এলাকায়। কুশমণ্ডি ব্লকের জামবাড়ি এলাকায় এক অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মীর বাড়িতে একটি আবাসিক স্কুল চালাচ্ছিলেন কুশমণ্ডি থানায় কর্মরত সিভিক মঞ্জুর। গত সোমবার বাড়ির মালিক তথা অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মী আব্দুল কাদের বাড়ি ভাড়া বাবদ টাকা চাইতে গেলে সিভিক তাঁর উপর অতর্কিতে হামলা চালান বলে অভিযোগ। কাদেরের ছেলে আনোয়ার হোসেনের দাব, সিভিক তাঁর বাবার বুকে একাধিক জায়গায় কামড়ে মাংস তুলে নেন এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে।
সকালে গুরুতর আহত অবস্থায় সেনাকর্মীকে প্রথমে কুশমণ্ডি গ্রামীণ হাসপাতাল ও সেখান থেকে গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটিতে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই তিনি চিকিত্সাধীন। মঙ্গলবার রাতে অভিযুক্ত সিভিকের বিরুদ্ধে সেনাকর্মীর ছেলে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। বুধবার সিভিককে গঙ্গারামপুর মহকুমা আদালতে তুলে তদন্তে নেমেছে পুলিস।
ঘটনায় নিন্দার ঝড় উঠেছে জেলাজুড়ে। প্রশ্ন উঠছে কুশমণ্ডি থানার সিভিক ভলেন্টিয়ারের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে। স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, অভিযুক্ত সিভিক কুশমণ্ডি ব্লকেজুড়ে একাধিক বেসরকারি স্কুল চালু করেছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে বেশকয়েকবার দাদাগিরির অভিযোগ উঠেছিল। সেনাকর্মীর ছেলে আনোয়ার হোসেন জানান, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে তাঁদের বাড়ি আবাসিক স্কুলের জন্য ভাড়া নিয়েছিলেন সিভিক। প্রত্যেক মাসে ভাড়া চাইতে গেলেই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠতেন তিনি। সোমবার কাদেরকে একা পেয়ে মারধর করে কামড়ে দিয়েছেন সিভিক। আনোয়ারের কথায়, বাবার বয়স হওয়ায় সিভিকের সঙ্গে পেরে ওঠেননি। আমরা চাই সিভিকের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি হোক। তাঁকে আর বাড়ি ভাড়া দেব না। প্রশাসন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিক।
অভিযুক্তের দাবি, সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন অভিযোগ। কাদের সকালে ভাড়া চাইতে এলে বলেছিলাম একটু দেরি হবে। সেকথা শুনে আমার উপর হামলা করে মারধর করেছেন। আমার হাতের আংটি লেগে সেনাকর্মীর শরীরে কেটে গিয়েছে। আমি আক্রমণ করিনি।
গঙ্গারামপুর মহকুমা পুলিস আধিকারিক দীপাঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, অভিযোগ পেয়েই আমরা দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছি। অভিযুক্ত সিভিককে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। ৯ দিনের পুলিস হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। পুরো ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।