• শিলিগুড়িতে নির্মীয়মাণ জাতীয় সড়ক কার্যত ‘বাঁধ’, জলবন্দির শঙ্কা, প্রস্তুত পুরসভা ও মহকুমা পরিষদ
    বর্তমান | ১৫ মে ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: সামনেই বর্ষার মরশুম। তাই সিকিম ও কালিম্পংয়ের লাইফ লাইন ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক মেরামতিতে ঝাঁপিয়েছে ন্যাশনাল হাইওয়ে অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন (এনএইচআইডিসিএল)। আজ, বুধবার প্রায় ১০ ঘণ্টা সংশ্লিষ্ট সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকবে। এদিকে, শিলিগুড়ি শহরে নির্মীয়মাণ ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক কার্যত নদী বাঁধের রূপ নিয়েছে। যার দু’পাশ নিচু। এরজেরে এবার বর্ষায় মাটিগাড়া থেকে শালুগাড়া পর্যন্ত বিস্তীর্ণ এলাকা জলবন্দি হতে পারে বলে আশঙ্কা। এর মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিচ্ছে পুরসভা ও মহকুমা পরিষদ। 

    তিস্তা নদীর ছোবল ও ধসে বিপর্যস্ত সিকিম ও কালিম্পংয়ের লাইফ লাইন এনএইচ ১০। গতবছর বর্ষায় সড়ক মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরপর সেভব থেকে রংপো পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট রাস্তা রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব রাজ্যের কাছ থেকে নিজেদের হাতে নেয় কেন্দ্র। এনএইচআইডিসিএল রাস্তাটি মেরামত করছে। সংশ্লিষ্ট কাজের জন্য রাস্তা বন্ধ রাখার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে তারা। আজ সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রাস্তাটি বন্ধ থাকবে। ১৭ ও ১৯ মে’ও একইভাবে রাস্তাটি বন্ধ রাখা হবে। 

    এখন গ্রীষ্মকালীন পর্যটনের ভরা মরশুম। কালিম্পং, সিকিমে পর্যটকের ভিড়। পর্যটন ব্যবসায়ী সম্রাট সান্যাল বলেন, এভাবে রাস্তা বন্ধ থাকায় পর্যটন শিল্পে ক্ষতি হচ্ছে। তা হলেও রাস্তা বন্ধ নিয়ে কোনও আপত্তি করছি না। আমরা চাই, রাস্তাটি স্থায়ীভাবে মেরামত করা হোক। এরপরও রাস্তাটি ঠিক না হলে আমরা চুপ করে বসে থাকব না। 

    এদিকে, মাটিগাড়ার বালাসন সেতু থেকে শালুগাড়া পর্যন্ত জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। এজন্য বালি, পাথর, মাটি ফেলে রাস্তাটি কার্যত বাঁধের মতো উঁচু করা হয়েছে। কিছু জায়গায় মাটি থেকে রাস্তার উচ্চতা প্রায় আটফুট। এখনও পরিকল্পিতভাবে নিকাশি নালা করা হয়নি। গতা ক’দিনে কয়েক পশলা বৃষ্টিতে চম্পাসারি ও মাটিগাড়ায় নির্মীয়মাণ রাস্তায় কিছু জায়গায় জল জমেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের আশঙ্কা, এবার ভারী বর্ষায় পরিবহণনগর, মাল্লাগুড়ি, রেগুলেটেড মার্কেট, চম্পাসারি, চেক পোস্ট মোড়, ভক্তিনগর, শালুগাড়া প্রভৃতি এলাকায় জল দাঁড়িয়ে যাবে। 

    বুধবার শিলিগুড়ি পুরসভা বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা নিয়ে বৈঠক করেছে। বৈঠকের পর মেয়র গৌতম দেব বলেন, সমগ্র পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে। শহরে যাতে বৃষ্টি জল না জমে সেজন্য নিকাশি নালা সাফাই করা হয়েছে। নতুন করে কিছু নালাও বানানো হয়েছে। এছাড়া বালির বস্তা, গাছ কাটার মেশিন সহ দুর্যোগ মোকাবিলায় বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জাম মজুত করা হয়েছে। ১ এপ্রিল চালু করা হবে কন্ট্রোল রুম। মহকুমা পরিষদের সভাধিপতি অরুণ ঘোষ বলেন, পরিস্থিতির উপর নজর রয়েছে। বিপর্যয় ব্যবস্থাপনায় শীঘ্রই কন্ট্রোল রুম চালু করা হবে।  নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)