একরাতের বৃষ্টিতে জমেছে জল ছবি দিয়ে রবিকে খোঁচা হিপ্পির
বর্তমান | ১৫ মে ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কোচবিহার: রাতভর একনাগারে বৃষ্টি। আর তার জেরেই কোচবিহার শহরের বেশকিছু জায়গায় জল জমে বুধবার সকাল থেকে ভোগান্তির শিকার হলেন পুরবাসী। শহরের মাঝে এমন জল জমার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে কার্যত পুর চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে খোঁচা দিয়েছেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা কোচবিহার পুরসভারই ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার অভিজিৎ দে ভৌমিক (হিপ্পি)। যদিও দুঁদে রাজনীতিবিদ রবিবাবুও এই প্রসঙ্গে নাম করে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। তাঁর দাবি, যাঁরা এসব করছেন তাঁরা জানেনই না যে কোথায় জল জমে আর কোথায় জল জমত।
মঙ্গলবার রাত থেকে কোচবিহারে বৃষ্টি শুরু হয়। গোটা রাতই বৃষ্টি হয়। সকালেও জোর বৃষ্টি চলে। এতেই শহরের কেশব রোডে রাজবাড়ির সামনে থেকে শুরু করে মিনি বাসস্ট্যান্ড, রাজমাতা দিঘির পাশের রাস্তা, কালিকা দাস রোড সহ আরও বেশকিছু জায়গায় জল দাঁড়িয়ে যায়। এখনও বর্ষা শুরু হয়নি। এখনই যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে ভরা বর্ষায় শহরের অবস্থা কী হবে, তা নিয়ে বাসিন্দারা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন।
অভিজিৎ দে ভৌমিক বলেন, আমি জল জমার কিছু জায়গা চিহ্নিত করে দিয়েছি। তারমধ্যে প্রায় ১০টি ওয়ার্ড রয়েছে। সুনীতি রোডের একদিকের জল, মিনি বাসস্ট্যান্ড, রাসমেলা মাঠের দিকের নিকাশি নালা পুরসভাকে পরিষ্কার রাখতে হবে। আমি ছবি দিয়ে পুরসভার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। সেটা পুরসভার হোয়াইটঅ্যাপ গ্রুপেও দিয়েছি।
কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান বলেন, সারা রাত ধরে মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে। সেই জল বের হতে সময় লাগছে। বৃষ্টির কারণে নিকাশি নালা পরিষ্কারের কাজ বন্ধ রয়েছে। এদিন সকালেও কাজ বন্ধ ছিল। আগে শহরের ২৭টি পয়েন্টে জল জমত। এখন দু’টি জায়গায় জল জমে। এমইডি’র কাজ হলে আগামী দিনে এই সমস্যাও মিটবে। কাউন্সিলার খোঁজ রাখেন না। কাজ শুরু হয়েছে, সেই খবরও নেই তাঁরা কাছে।
কোচবিহার শহরে ফাঁকা জায়গা বলতে তেমন নেই। সব জায়গাতেই বাড়িঘর তৈরি হয়েছে। ফলে রাস্তার জল নেমে যাওয়ার জায়গা এখন আর নেই। এদিকে, নিকাশি নালা পরিষ্কারের কাজ এখনও শেষ হয়নি। কিছু জায়গায় জল আটকে যাচ্ছে। আর এর ফলেই শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডের মধ্যে থাকা রাস্তায় এদিন সকালে রাতের টানা বৃষ্টিতে জল জমে যায়। যা নিয়ে জায়গার উল্লেখ করে, ছবি দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিষয়টি জানান অভিজিৎবাবু। তিনি লেখেন— শহরের মানুষের যাতে ভোগান্তি না হয় তারজন্যই পুরসভা।