• স্কুলের জমি দখল করে চা বাগান তৈরির অভিযোগ, পরিদর্শনে খোদ বিএলআরও
    বর্তমান | ১৫ মে ২০২৫
  • সংবাদদাতা, মেখলিগঞ্জ: স্কুলের জমি দখল করে চা বাগান তৈরির অভিযোগকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ ব্লকের উছলপুকরি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। অভিযোগ, দেউতিরহাট শালতলি এপি স্কুলের জমিতে দীর্ঘদিন ধরেই অবৈধভাবে চা গাছ লাগানো হয়েছে। এমনকী জলনিকাশির জন্য ড্রেন কাটায় পড়ুয়াদের নিরাপত্তাও প্রশ্নের মুখে পড়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে বুধবার স্কুল পরিদর্শনে যান মেখলিগঞ্জের বিএলআরও সুজন রায়, পঞ্চায়েত সমিতির বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ মিনুরা খাতুন সহ ভূমি দপ্তরের আধিকারিকরা। মোতায়েন ছিল পুলিসও। ভূমিদপ্তরের পক্ষ থেকে মাপজোখ করে দেখা যায়, স্কুলের জমির একাংশ দখল হয়ে গিয়েছে। অবিলম্বে স্কুলের জমি মুক্ত করার নির্দেশ দেন কর্তারা। 

    এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। স্কুলের অভিভাবক ও স্থানীয় বাসিন্দারা বিক্ষোভ দেখিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তোলেন। তাঁদের অভিযোগ, স্কুলের পাশে চা বাগান হওয়ায় পড়ুয়াদের খেলার মাঠ বলতে কিছুই নেই। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোপালচন্দ্র রায়ও বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, সম্প্রতি স্কুলের পাশে ড্রেন কাটায় দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়ছে। তবে যার বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ, স্থানীয় সেই বাসিন্দা বিপুল বর্মন দাবি করেন, জমিটি তাদের পারিবারিক সম্পত্তি এবং সেখানেই চা বাগান করেছেন। ভূমিদপ্তর অর্ধেক বাগান ছেড়ে দিতে বললেও তিনি জানিয়ে দিয়েছেন তা সম্ভব নয়। তবে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, জমি সংক্রান্ত নথিপত্র খতিয়ে দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আপাতত পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে ভূমিদপ্তর ও স্থানীয় প্রশাসন। 

    বিএলআরও সুজন রায় বলেন, স্কুলের সীমানা নিয়ে সমস্যা ছিল। এদিন মাপজোখ করে দেখা গিয়েছে স্কুলের কিছুটা জমি দখল হয়ে গিয়েছে। জায়গা দখলমুক্ত করতে বলা হয়েছে। সমস্যা না মিটলে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।  নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)