• ল্যান্সডাউন মার্কেট সংস্কারের জটিলতা কাটল, চলতি মাসের শেষেই কাজ শুরুর সম্ভাবনা
    বর্তমান | ১৫ মে ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ল্যান্সডাউন মার্কেটের দ্বিতীয় পর্যায়ের সংস্কার নিয়ে জটিলতা কাটল অবশেষে। পূর্ব ঘোষণা মতো বুধবার বাজার পরিদর্শনে যান তিন মেয়র পারিষদ সন্দীপরঞ্জন বক্সি, আমিরুদ্দিন ববি ও বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়। যে ন’জন দোকানদারের জন্য সমস্যা তৈরি হয়েছিল বলে অভিযোগ, তাঁদের বুঝিয়ে রাজি করানো গিয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি মাসের শেষেই মার্কেট সংস্কারের পরবর্তী পর্যায়ের কাজ শুরু হয়ে যাবে বলে জানাচ্ছে কলকাতা পুরসভা।

    বিগত ২০ বছরের টালবাহানা কাটিয়ে বছর তিন আগে জীর্ণ ল্যান্সডাউন বাজার সংস্কারের কাজ শুরু হয়। তবে মাত্র ন’জন দোকানদারের জন্য সেই কাজ বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ করে স্থানীয় বাজার সমিতি। দ্বিতীয় পর্যায়ের সংস্কার নিয়ে জটিলতা কাটাতে গত মঙ্গলবার কলকাতা পুরসভায় একটি বৈঠক হয়। সেখানে ন’জন ব্যবসায়ী বেশ কিছু দাবি পেশ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতেই বুধবার জায়গাটি ঘুরে দেখে তাঁদের সমস্যা শোনার সিদ্ধান্ত হয়। তাঁদের কোথায় দোকান দেওয়া হবে, সেই জায়গা দেখা হয়েছে। সন্দীপরঞ্জন বক্সি বলেন, ‘ওঁরা তিনটি নথি চেয়েছেচন। ২১ মে’র মধ্যে সেগুলি পুরসভার বাজার বিভাগের তরফে ওঁদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। তারপর বাজার সংস্কারের কাজ শুরু হয়ে যাবে। কোথায় কে দোকান পাবেন, সেগুলি চিহ্নিত করা, চুক্তির নথিপত্র সহ বিভিন্ন কাগজপত্র ওই দোকানদারদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।’ 

    বাজার বিভাগের মেয়র পারিষদ আমিরুদ্দিন ববি বলেন, ‘ঝামেলা অনেকদিন ধরে চলছিল। কিছু দোকান নিয়ে জটিলতা ছিল। আমরা বাজার ঘুরে ওঁদের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। অস্থায়ী দোকান কোথায় দেওয়া হবে, সেটাও দেখানো হয়েছে। আলোচনা করেই সমস্যার সমাধান সম্ভব হয়েছে। এবার দ্রুত সংস্কারের কাজ শুরু হয়ে যাবে।’ ওই ন’জন দোকানদারের বক্তব্য, তাঁদের দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। তাই আর কোনও জটিলতা রইল না। নথিপত্র হাতে পেলে তাঁরা অস্থায়ীভাবে দোকান সরিয়ে নিয়ে যাবেন।

    পুরনো ল্যান্সডাউন বাজার ভেঙে সেখানে উঠবে ন’তলা বহুতল শপিং মল। বেসমেন্টে গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে। একতলা ও দোতলায় হবে বাজার। বাকি তলগুলিতে ডেভেলপার তাঁর নিজের মতো লিজ দেবে বা বিক্রি করবে। এই বাজারটির উন্নয়ন হচ্ছে পিপিপি মডেলে। কমবেশি ৩৫০ জন দোকান পাবেন। সব্জি, মাছ, মাংস, ফুল, ফলের বাজারের জন্য বড় জায়গা থাকবে। যাঁদের দোকান ছিল, তাঁরা সকলেই জায়গা পাবেন। আড়াই বিঘা জমির উপর এই বাজার। ইতিমধ্যে প্রথম দফায় প্রায় ২০০ জন দোকানদারকে অস্থায়ীভাবে জায়গা দেওয়া হয়েছে। বাজারের একাংশে সংস্কার হচ্ছে। দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ এবার শুরু হবে।  বাজার পরিদর্শনে পুরসভার কর্তারা-নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)