পুরশুড়া থেকে ডিহিভুরশুট, ভাঙাচোরা ৮ কিমি রাস্তা চলাচলের অযোগ্য, দুর্ভোগ
বর্তমান | ১৫ মে ২০২৫
সংবাদদাতা, আরামবাগ: দীর্ঘদিন ধরে রাস্তা মেরামত না করায় পুরশুড়া গ্রাম থেকে ডিহিভুরশুট পর্যন্ত রাস্তাটি একেবারে যান চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ওই রাস্তা দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে গিয়ে নিত্যদিন দুর্ঘটনার সম্মুখীন হচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রায় দশ মাস আগে এই রাস্তাটি মেরামতের কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তুকয়েক মাস কাজ চলার পরেই তা বন্ধ হয়ে যায়। তারপর থেকে এখনওপর্যন্ত নতুন করে কাজ শুরু হয়নি। এই বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে জানানো হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। যার ফলে আমাদের ভাঙাচোরা রাস্তা দিয়ে নিত্যদিন যাতায়াত করতে বাধ্য হতে হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে পুরশুড়া পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি খোকন মল্লিক বলেন, আমরা এই রাস্তাটি যাতে দ্রুততার সঙ্গে সংস্কার করা হয়, তার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। এই রাস্তাটির জন্য সাধারণ মানুষের খুবই অসুবিধা হচ্ছে। আশা করি, খুব তাড়াতাড়ি নতুন করে এই রাস্তা তৈরি করা হবে। স্থানীয় ও পঞ্চায়েত সমিতি সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরশুড়া থেকে ডিহিভুরশুট পর্যন্ত রাস্তাটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৮ কিলোমিটার। এই রাস্তাটি দিয়েই হুগলির পুরশুড়া থেকে ডিহিভুরশুট হয়ে হাওড়া যাওয়া যায়। তার জন্য এই রাস্তার গুরুত্ব অনেকটাই বেশি। এই রাস্তা দিয়ে প্রচুর বালির গাড়ি যাতায়াত করে। স্কুল, কলেজে পড়তে যাওয়ার জন্য এই রাস্তা ব্যবহার করে গ্রামের পড়ুয়ারা। এই রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল হয়ে পড়েছিল। এরপর গত ২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রাস্তাটি সংস্কারের কাজ শুরু হয়। কাজ কয়েক মাস চলার পর হঠাৎ করে এই কাজ বন্ধ হয়ে যায়। তারপর থেকে এই রাস্তা এখন পর্যন্ত নতুনভাবে তৈরি হয়নি। এদিকে রাস্তার উপর থেকে পিচ পাথর সরে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সেই গর্তের উপর দিয়ে গাড়ি চলার সময় প্রচুর ধুলো উড়ছে। আবার বৃষ্টির জল ওই গর্তে জমা হয়ে ছোট ছোট জলাশয়ে পরিণত হচ্ছে। গর্তে জল ভর্তি থাকলে গর্তের গভীরতা না বুঝতে পেরে তার উপর দিয়ে গাড়ি চালাতে গিয়ে ছোট বড় দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে হচ্ছে দুই চাকা থেকে চার চাকা গাড়িকে। অনেক সময় গাড়ি বিকল হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। ওই রাস্তা দিয়েই যাতায়াত করেন ১৫ থেকে ২০টি গ্রামের বাসিন্দারা। এই পথ ধরে মানুষজন পুরশুড়া থানা, বিডিও অফিস, পঞ্চায়েত সমিতির অফিস, নানান স্কুল ও কলেজে যাতায়াতকরেন। এই প্রসঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দা সুব্রত চক্রবর্তী বলেন, আমরা রাস্তাটি নতুনভাবে তৈরি করার দাবি নিয়ে বিডিও অফিসে একাধিকবার জানিয়েছি। কিন্তু আমাদের কথা শোনা হয়নি। যার ফলে আমাদের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। মাঝে মাঝে দুর্ঘটনাও ঘটছে। গ্রামের কেউ অসুস্থ হয়ে গেলে তাঁকে ওই রাস্তা দিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় খুব সমস্যায়পড়তে হচ্ছে। তাই রাস্তাটি মেরামত করার দাবি জানাচ্ছি। -নিজস্ব চিত্র