• খড়্গপুরে রেলের জমিতে গড়ে ওঠা তৃণমূল ও বিজেপির পার্টি অফিস সরানোর নোটিস
    বর্তমান | ১৫ মে ২০২৫
  • সংবাদদাতা, মেদিনীপুর: খড়্গপুর শহরে এবার রেলের জমিতে গড়ে ওঠা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পার্টি অফিস উচ্ছেদের প্রস্তুতি শুরু করল রেল। বুধবার তৃণমূল ও বিজেপির দু’টি পার্টি অফিসে নোটিস সাঁটানো হয়। বলা হয়েছে, অনুমোদন ছাড়াই গড়ে ওঠা পরিকাঠামো সাতদিনের মধ্যে ভেঙে ফেলতে হবে। বিকেলে রেলের তরফে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাউথ সাইড এলাকার ২৬নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি ও ২৭নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের তৈরি কাঠামো অপসারণের জন্য নোটিস জারি করা হয়েছে। সাতদিনের মধ্যে না সারালে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রেলের জমি দখলমুক্ত করতে এই পদক্ষেপ বলে কর্তৃপক্ষের দাবি। সূত্রের খবর, আগামী দিনে বাকি অফিসগুলিতেও একইভাবে নোটিস পাঠানো হবে। রেলের সিনিয়র ডিসিএম নিশান্ত কুমার বলেন, রেলের জায়গা দখলে থাকলে নোটিস তো যাবেই। 

    প্রসঙ্গত, গত এপ্রিল মাসে রেলের তরফে তৃণমূল, বিজেপি, কংগ্রেস ও সিপিএম দলকে নোটিস দেওয়া হয়েছিল। সেখানে রেলের জায়গায় থাকা তৃণমূলের ২১টি, বিজেপির ১২টি, কংগ্রেসের দুই ও সিপিএমের একটি  পার্টি অফিসের কথা উল্লেখ করা হয়েছিল। রেলের জমিতে গড়ে ওঠা এইসব অফিস সরাতে বলা হয়েছিল। না হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল। ২৭নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার রোহন দাস বলেন, দলের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেব। ২৬নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলার অনুশ্রী বেহেরা বলেন, সবাই ভাঙলে আমিও ভাঙব। কিন্তু, আমরা কাউন্সিলাররা কোথা থেকে জনগণের সেবা দেব, সেটাও রেলকে দেখতে হবে। 

    তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক সুজয় হাজরা বলেন, রেলকে সর্বদলীয় বৈঠক ডেকে আলোচনায় বসে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ওরা যা মনে করবে তাই হবে নাকি! রেল এলাকায় পুরসভা পরিষেবা দেয়। স্বাভাবিকভাবে রেল এলাকায় কাউন্সিলারদের দলীয় অফিস থাকবে। যেখান থেকে তারা পরিষেবা দেবে। তা ভাঙার অধিকার রেলের নেই। বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য তুষার মুখোপাধ্যায় বলেন, রেল এলাকা পুরসভার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। সেখানে যাঁরা কাউন্সিলার আছেন, রেলের জায়গাতেই তো তাঁরা অফিস করে জনগণের কাজ করবেন। সেটা রেলকে ভাবতে হবে। এটা রেলের দায়িত্ব। দলের নেতারা রেলের সঙ্গে কথা বলবেন।
  • Link to this news (বর্তমান)