• সল্টলেকে ‘বৈদ্যুতিক রিকশ’র ধাক্কায় ১০ মাসে দু’জনের মৃত্যু
    বর্তমান | ১৫ মে ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বিধাননগর: প্যাডেল রিকশ’র সংখ্যা এখন অনেক কমে গিয়েছে। পুরনো প্যাডেল রিকশতে ব্যাটারি বসিয়ে তৈরি করা হচ্ছে ‘ইম্প্রোভাইজড বৈদ্যুতিক রিকশ’। এই বৈদ্যুতিক রিকশ’র কোনও রেজিস্ট্রেশন হয় না। তাই মোটর ভেহিকেলস অ্যাক্টে কোনও মামলাও হয় না। কোনও নির্দিষ্ট গাইডলাইন না থাকায় এগুলি নিয়ন্ত্রণ করতে সমস্যা হয়। যার সুযোগ নিয়ে নিয়ন্ত্রণহীন অবস্থায় বেপরোয়া গতিতে ছোটে অধিকাংশ রিকশ। সল্টলেক শহরে এ ধরনের প্রায় দু’হাজার বৈদ্যুতিক রিকশ চলে। নিয়ন্ত্রণহীন গতির জেরে দুর্ঘটনা ঘটে। যেমন গত ১০ মাসে সল্টলেকে দু’জন প্রবীণ নাগরিকের মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে। পুলিসের দাবি, রিকশ চালকদের নিয়মিত সচেতন করা হয়। গতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য সচেতনতা প্রচার আরও বাড়ানো হবে।

    পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, জুলাই মাসে সল্টলেক সেন্ট্রাল পার্কের কাছে একটি বৈদ্যুতিক রিকশ’র ধাক্কায় শুভাশিস চৌধুরী নামে এক বৃদ্ধ জখম হন। কলকাতার নেতাজি নগরে তাঁর বাড়ি। হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু ঘটে। দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটে সল্টলেকের বিএল ব্লকে। শিখা দত্ত নামে এক বৃদ্ধাকে পয়লা মে বাড়ির সামনে একটি বৈদ্যুতিক রিকশ ধাক্কা দেয়। গুরুতর জখম হন মহিলা। শনিবার রাতে হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। বৃদ্ধার পরিবার বিধাননগর পূর্ব থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

    পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ইম্প্রোভাইজড হওয়ায় যে যেভাবে খুশি তৈরি করছেন রিকশ। অধিকাংশের ব্রেক ঠিক নেই। সামনে আচমকা কেউ পড়ে গেলে রিকশ দাঁড়াতে পারে না। তাই গতি নিয়ন্ত্রণহীন হলেই বিপদ। গতি যে বেশি থাকে তা পয়লা মে’র ঘটনা রীতিমতো প্রমাণ দিচ্ছে। ধাক্কা লাগার পর বৃদ্ধা ছিটকে গিয়ে পড়েছিলেন ফুটপাতের ধারে। তাঁর পাঁজর ভেঙে বুকের ভিতর ঢুকে গিয়েছিল। এই ঘটনার পর বৈদ্যুতিক রিকশ’র উপর ফের কড়া নজরদারি শুরু হয়েছে। বিধাননগর কমিশনারেটের এক পুলিস আধিকারিক বলেন, প্রায় ২২০০ রিকশ সল্টলেকে চলে। চালকদের সচেতন করা হয়, যাতে প্রত্যেকে আইন মেনে, গতি নিয়ন্ত্রণ রেখে চালান। আমরা আবার পথে নামব। সকলকে আরও বেশি সচেতন হতে হবে।
  • Link to this news (বর্তমান)